৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খুলনা টাইগার্স তখন রীতিমত ধুঁকছে। সেখান থেকেই দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের পথে চোখ রাখতে বাধ্য করেছিলেন দাসুন শানাকা। বিপিএলে সিলেট পর্বের শুরুটা একরকম নিজেরই করে নিয়েছেন লঙ্কান এ অলরাউন্ডার৷
প্রথমে ব্যাট হাতে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস, পরে বল হাতে ৪ উইকেট। এমন অলরাউন্ডিং পারফর্মেন্সেই জয়ী খুলনা টাইগার্স। রংপুরের সামনে লক্ষ্যটা বড় ছিল না। তবে সেই ১৬০ রানের পুঁজিটাই তাদেরকে কাঠিন্যের খোলসে আবদ্ধ করে ফেলে খুলনার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে।
এখানেও মূখ্য ভূমিকা পালন করেন দাসুন শানাকা। রংপুরের ইনিংসে শুরুতে ধাক্কা দিয়েছিলেন দুই পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও মোহাম্মদ নওয়াজ। তবে সেই ধাক্কা সামলে রংপুর যখন কেবল একটু উঠে দাঁড়িয়েছে, তখনই আঘাত হেনেছেন শানাকা।
রনি তালুকদারকে আউট করে যার শুরু। খুলনার হয়ে এরপরেও আরেকবার ব্রেক থ্রো এনে দেন তিনি। ৮০ রান ৭ উইকেট হারানো রংপুর ৩৬ রানের জুটিতে এগিয় যাচ্ছিল প্রতিরোধ গড়ার পথে। কিন্তু দাসুন শানাকার ২ ওভারের স্পেলেই সব লণ্ডভণ্ড। ৭ উইকেটে ১১৬ রানে ব্যাট করতে থাকা রংপুর অলআউট হয় ১৩২ রানে।
তার আগে রংপুরে প্রাণভোমরা সাকিবকেও ফিরিয়েছেন শানাকা। যদিও এ দিন শুরুতে ব্যাট হাতে দলকে জয়ের পুঁজি গড়তে অবদান রেখেছিলেন তিনিই। মোহাম্মদ নওয়াজের সাথে তাঁর গড়া ৭৬ রানের জুটিটাই ম্যাচের গতিপথ বদলে দেয়। যদিও অর্ধশতক ছোঁয়া হয়নি। তবে ৩৩ বলে তাঁর খেলা ৪০ রানের ইনিংসটি ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
এবারের বিপিএলে ঢাকার প্রথম পর্বে ছিলেন না শানাকা। তবে সিলেটে এসেই বাজিমাত করলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাজে সময় কাটানো এ ক্রিকেটার হঠাতই ফেরার রাস্তা হিসেবে খুঁজে নিলেন বিপিএলকে। এমন দারুণ পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতায় নিশ্চিতভাবেই রাখতে চাইবেন তিনি।