উন্নতি না, জয়ই চাইবেন শান্ত

ঢাকা টেস্টে সর্বসাকুল্যে খেলা হয়েছে সাত সেশন। প্রথম দিন উইকেট পড়েছে ১৫টি। চতুর্থ দিনও দুই দল মিলিয়ে উইকেট গেছে ১৪টি। চার ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ১৮০। স্বাভাবিকভাবেই মিরপুরের উইকেট নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। এই ধরণের ঘরের মাঠের ফায়দা নেওয়ার মানে কি, এই প্রশ্ন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

তবে প্রথমবারের মত অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য খারাপ কিছু দেখছেন না এই উইকেটে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মোটেও উন্নতি করবার জায়গা নয়। এখানে জয়টাই মুখ্য বিষয়। তেমন মত দিয়েছেন বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটের পরাজয়ের পর এমন অভিমতই ব্যক্ত করেছেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে তো আমরা ইমপ্রুভ করতে আসিনাই, জিততে আসছি। এইখানে জেতার জন্য আমাদের প্রস্তুতিটা কেমন হওয়া উচিত, তা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ধরনের অ্যাডভান্টেজ অবশ্যই নেওয়া উচিত।’

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম যেন বরাবরই এমন দূর্ধর্ষ আচরণ করে। এখানে বিশ্বের বাঘা-বাঘা সব দল নাকানিচুবানি খায় প্রতিনিয়ত। খাবি খেতে খেতেও জয়টা পেয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। যেন নিজেদের ফাঁদেই পড়ে গেছে বাংলাদেশ।

তবে শান্ত মনে করেন টেস্ট ক্রিকেটে এমন উইকেটেই খেলা উচিত। কারণ জয় পাওয়ার জন্যে যে কিছু করা সম্ভব তা করা যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্র্যাকটিসের জায়গা না। এখানে ইমপ্রুভ করারও কিছু নাই যে ভালো উইকেটে খেলে আমরা ভালো ম্যাচ খেললাম। এখানে আমরা জেতার জন্য আসি।’

তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল-খারাপ উইকেটে সংমিশ্রণ দেখতে চান শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় যে আমরা যখন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলি, সেখানে আমরা ভালো উইকেটে বা এমন কন্ডিশন বানায়ে প্র্যাকটিস করতে পারি। যখন আমরা হোমে খেলব আমরা এনসিএলে এমন উইকেটে খেললাম। আবার অ্যাওয়ের জন্য দুই তিনটা উইকেট আমরা এভাবে বানালাম।’

লাল বলে নিজেদের পছন্দসই উইকেটেই খেলতে চান নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সাদা বলের ক্রিকেটে আরও ভাল উইকেট প্রত্যাশা করেন শান্ত। কেননা সেখানে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট খেলতে হয় প্রায় প্রতি বছরান্তেই। সেসব টুর্নামেন্ট সাধারণত হয় স্পোর্টিং উইকেটে। তাই সাদা বলে স্পোর্টিং উইকেটের ঘরোয়া ফায়দা নিয়ে প্রস্তুত হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন শান্ত।

তিনি বলেন, ‘হোমে আমরা যখন সাদা বল মানে ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি খেলব, তখন আমাদের সবসময় ভালো উইকেটে খেলা উচিত। যদি আমরা বড় টুর্নামেন্টে ভালো করতে চাই।’ পরাজয়ের থেকেও মুখ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে মিরপুরের উইকেট।

তবে বাংলাদেশের পরিকল্পনা বেশ স্পষ্ট। গোটা দলই মিরপুরের এমন বৈরী উইকেটে খেলতে চায়। তারা টেস্ট ক্রিকেটে জিততে চায়। গত প্রায় দুই যুগেও যে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান নড়বড়ে। অন্তত ঘরের মাঠে সেই অবস্থান পোক্ত করতে চায় বাংলাদেশ দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link