নাজমুল হোসেন শান্ত ও শান মাসুদ, দুই ভিন্ন দেশের নয়া কাপ্তান। প্রায় একই সময়ে এই দুইজন পেয়েছেন অধিনায়কত্বের দায়িত্বভার। স্বল্প সময়ের মাঝে এই দুইজন নিজেদের আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন অধিনায়ক হিসেবে। দু’জনের মাঝে তুলনাও হচ্ছে ইদানীং। তবে সেই তুলনায় শান্তর পাল্লাই ভারি।
২০২৩ সালে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন শান্ত। শান মাসুদও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে পাকিস্তানকে টেস্ট ক্রিকেটে দিচ্ছেন নেতৃত্ব। শান মাসুদের অধীনে এখনও অবধি সুখকর কোন ফলাফল এসে ধরা দেয়নি। এমনকি ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষেও পরাজয় বরণ করেছে শান মাসুদের দল।
অন্যদিকে, একেবারেই ভিন্ন চিত্র শান্তর অধীনস্থ বাংলাদেশের। টেস্ট ক্রিকেটে যেন নব জাগরণ ঘটেছে গোটা দলের। এখন অবধি পাঁচটি টেস্ট ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন শান্ত। যার মধ্যে দুইটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। সিলেটের স্পোর্টিং উইকেটে দারুণ খেলে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে টাইগাররা।
এরপর রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের সকল পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে শান্তর দল। অন্যদিকে, শান মাসুদ চারটি টেস্টের চারটিই হেরেছেন। যদিও এই পরিসংখ্যানে যুক্ত হয়নি রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ।
শান মাসুদের এমন বেহাল দশা দেখে তাই আর চুপ করে রইলেন না পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলি। তিনি তো বেশ রূঢ়ভাবেই বলে বসলেন, শান বেশ বাজে অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘শান মাসুদের বাজে অধিনায়কত্ব। যদি তুমি অধিনায়কত্ব না পারো শান্তর কাছে যাও। জিজ্ঞেস করো কিভাবে অধিনায়কত্ব করতে হয়।’
নাজমুল শান্ত নিজের দলের সক্ষমতা সম্পর্কে বেশ ভালভাবেই অবগত রয়েছেন। তাছাড়া তিনি তার দলের শক্তিমত্তাগুলোকে বেশ ভালভাবেই কাজে লাগাতে জানেন। এছাড়াও বেশ হিসেব কষে ঝুঁকি নিতেও পটু শান্ত। ঠিক সে কারণেই টেস্ট ক্রিকেটে ফলাফল আসছে বাংলাদেশের পক্ষে। তাইতো প্রশংসাও তারই প্রাপ্য।