আগের আসরের সেমিফাইনালিস্ট, বাংলাদেশ তাই একটু হলেও আশা করেছিল এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে। কিন্তু পরপর দুই ম্যাচ হেরে সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন নাজমুল শান্তরা। কোন রকম লড়াই করা ছাড়াই হেরেছেন তাঁরা, তবু নাজমুল শান্ত সবার আগে ইতিবাচক দিকটাই দেখছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ড্রেসিংরুমের অবস্থা বেশ ভালো ছিল। সবাই দলের জন্য অবদান রাখার জন্য মরিয়া ছিল। ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, দলের সবার একে অপরের ওপর বিশ্বাস ছিল। টুর্নামেন্টের আগে থেকেই এমনটা দেখেছি আমি, আর টুর্নামেন্ট জুড়ে এই পরিবেশ ছিল।’
অবশ্য পারফরম করার জন্য সবাই যদি উদগ্রীব হয়ে থাকেন তাহলে ভারত ম্যাচের আগের রাতেই কেন টিম ডিনারে গিয়ে সফট ড্রিংকস আর তৈলাক্ত খাবার খেতে হবে? অনেকের মতে, এই খাবারদাবার ম্যাচে বাজে প্রভাব ফেলেছে। তবে সরাসরি সেটা অস্বীকার করেছেন অধিনায়ক শান্ত, তাঁর মতে এটা এমন কোন বড় বিষয় না।
তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি শুনেছি লোকজনের কথা। কিন্তু আমি কনফিউজ বাইরে থেকে তাঁরা কিভাবে জানে আমরা কি খেয়েছি? ওখানে তো শুধু ক্রিকেটার ছিল না, তো কেবল ক্রিকেটাররাই কোক বা তৈলাক্ত খাবার খেয়েছে এমনটা ভাবলো কেন?’
তবে এই বাঁ-হাতি নিজেদের গাফলতি মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বলব না আমরা এসব ধরিওনি; হ্যাঁ আমরাও টুকটাক খেয়েছি। এবং আমি মানি আমাদের খাদ্যাভাস বদলানো উচিত। কিন্তু এটাকে এত বড় কিছু ভাবার প্রয়োজন ছিল না; একবেলার খাবার পুরো দলের পারফরম্যান্স বদলে দিয়েছে এটা খুবই অবাস্তব কথা। আর আমি বলতে পারি গণমাধ্যমে আপনারা যা দেখেছেন তাঁর অধিকাংশই সত্যি নয়।’
কি জানি, একবেলা-ই তো এমনটা ভেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কতশত বার ফাস্ট ফুডের দোকানে উঁকি মেরেছেন। অথচ বিরাট কোহলি এখনো তেল খান না, নিজের প্রিয় খাবার মুখে তোলেন না। ডেডিকেশনই তো সাফল্যকে পথ দেখায়, তাই না?