বিরাট কোহলি সবসময়ই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে পাঁচ বোলার নিয়ে মাঠে নামাটাই তাঁর পছন্দ। তাও যদি হয় দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিং কন্ডিশন। তবুও আলোচনা হচ্ছে শেষ মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে কোনটাকে বেঁছে নিবেন কোহলি। পেসার শার্দুল ঠাকুরকে নাকি বাড়তি ব্যাটসম্যান হিসেবে আজিঙ্কা রাহানেকে খেলাবেন তিনি।
২৬ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে ভারত। এমনিতে সবমিলিয়ে বিরাট কোহলিকে নিয়ে অনেকরকম আলোচনাই হচ্ছে। কিছুদিন আগে রঙিন পোশাকে অধিনায়কত্বও হারিয়েছেন। এখন টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামার আগে তাঁকে নিতে হবে বড় সিদ্ধান্ত। একাদশ নিয়ে এই প্রশ্নটাই এখন সবচেয়ে জড়ালো।
শার্দুল ঠাকুর নাকি আজিঙ্কা রাহান এই প্রশ্নকে অবশ্য ভিন্ন মাত্রাও দেয়া যয়। যদি একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলানো হয় তাহলে আসতে পারে হনুমা বিহারির নামও। যদিও বক্সিং ডে টেস্টেই তাঁকে বিবেচনা করাটা কঠিনই হবে।
বিরাট কোহলি তাঁর আগ্রাসী মনোভাবের কারণে হয়তো শার্দুল ঠাকুরকেই খেলাতে চাইবেন। তবে রবীন্দ্র জাদেজা না থাকায় একাদশ সাজাতে বেশ হিমশিমই খেতে হচ্ছে কোহলিকে। জাদেজা না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারের শক্তিও খানিকটা কমে যাবে। আবার দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে সবসময়ই পেসারদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকে। ফলে শারদুল ঠাকুরকে বাদ দেয়াটাও কঠিন সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।
ব্যাটসম্যান হিসেবে অবশ্য আজিঙ্কা রাহানে খুব একটা ভালো সময় পার করছিলেন না। লম্বা সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপের বড় ভরসার জায়গা ছিলেন এই ব্যাটসম্যান। একসময় তাঁকে ভারতের সহ-অধিনায়ক করার আলোচনাও হচ্ছিল। তবে ফর্মের কারণে সেটি হেলায় হারিয়েছেন। টেস্টে শেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন গতবছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এরপর এবছর আর কোন সেঞ্চুরি নেই। এমনকি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসও মাত্র একটি। তাও সেটা ছয় ইনিংস আগে।
ওদিকে শারদুল ঠাকুরের ব্যাটিংটাকেও একেবারে অস্বীকার করা উপায় নেই। ব্যাট হাতেও এখন পর্যন্ত ভারতের হয়ে বেশ কার্যকর তিনি। এছাড়া বল হাতে তো টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ শুরু করেছেন। মাত্র ৪ টি টেস্ট খেলেই তাঁর ঝুলিতে আছে ১৪ উইকেট। এছাড়া ব্যাট হাতেও ৩৮ গড়ে করেছেন ১৯০ রান। বোঝাই যাচ্ছে, ব্যাট হাতেও তিনি বেশ কার্য্যকর, নিচের দিকে ভাল রান তুলতে পারেন। ফলে একাদশের শারদুলের থাকার সম্ভাবনাটাই সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া টেস্টে ভারতের বাকি পজিশন গুলো মোটামুটি ঠিক করাই আছে। ওপেনিং পজিশনে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সাথে থাকছেন লোকেশ রাহুল। এরপর চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়াররা থাকবেন মিডল অর্ডারে। আর শেষ দিকে ঋষাভ পান্ত, রবিচন্দ্রণ অশ্বিনরাও আছেন। ওদিকে বোলিং আক্রমণে আছেন ভারতের তিন পেসার। মোহম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহম্মদ সিরাজ।