ধারাবাহিক হোক ধারালো ব্যাট

এবারের অ্যাশেজ সিরিজে কার্য্যত তাঁর খেলারই কথা ছিল না। শেষ পর্যন্ত টিম পেইনের কাণ্ডের পর দলে ডাক পেলেন। ব্রিসবেন টেস্টে একাদশেও সুযোগ হলো। এবছর প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন, তাও আবার অ্যাশেজে। এর আগে গতবছর ভারতের বিপক্ষে নিজের শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। ট্রাভিস হেড ফিরলেন বড় মঞ্চে, বড় ক্রিকেটারের মত করেই।

এবারের অ্যাশেজ সিরিজে কার্য্যত তাঁর খেলারই কথা ছিল না। শেষ পর্যন্ত টিম পেইনের কাণ্ডের পর দলে ডাক পেলেন। ব্রিসবেন টেস্টে একাদশেও সুযোগ হলো। এবছর প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন, তাও আবার অ্যাশেজে। এর আগে গত বছর ভারতের বিপক্ষে নিজের শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। ট্রাভিস হেড ফিরলেন বড় মঞ্চে, বড় ক্রিকেটারের মত করেই।

যদিও, এমন হওয়ারই কথা ছিল না। কম বয়স থেকেই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের ‘বিগ থিঙ’ বলে বিবেচিত হয়েছেন ট্রাভিস হেড। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ক্রিকেটীয় মেধা দিয়ে অনেক আগে থেকেই নজরে এসেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তাঁর যাত্রাটা শুরু হয়েছিল রঙিন পোশাকের ক্রিকেট দিয়েই।

তবে হেড নিজেকে বারবার প্রমাণ করেছেন টেস্ট ক্রিকেটে। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজের প্রথম টেস্টেই ৭২ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ধারাবাহিক ভাবেই রান করেছেন। তবে নিজের সেরাটা দিতে পারছিলেন না।

দেখা পাচ্ছিলেন না বড় কোন ইনিংসের। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যানবেরাতে প্রথম নিজের প্রতিভার পুরো ব্যবহার করেন। সেখানে দেখা পান নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। ২০১৯ সালে সেই ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১৬১ রানের ইনিংস।

তবে এরপর আবার বছরটা খুব ভালো ভাবে কাটাতে পারেননি। আবারো নিজের ছোট ছোট ইনিংস গুলোর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছিলেন। তবে সেই বৃত্ত ভাঙেন বছরের শেষ দিকে গিয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে করেছিলেন ১১৪ রান। তবে এই সেঞ্চুরির পর আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আবারো ছোট ছোট ইনিংস, দেখা মিলছিল না বড় ইনিংসের।

সেই টেস্টে পর তিন টেস্টে হাফ সেঞ্চুরির দেখাও পাননি। এরপর দল থেকেও বাদ পড়েন। এই বছর আর অজিদের টেস্ট দলে ডাক পাননি। দলের বাইরে থেকেই গুণছিলেন অপেক্ষার প্রহর। হয়তো অপেক্ষাটা আর বাড়তো ট্রাভিসের। তবে শেষ মুহূর্তে টিম পেইনের জায়গায় দলে জায়গা ফিরে পান। জায়গা পেয়ে শুধু কাজেই লাগাননি বরং নিজের ক্রিকেট মেধাকে গোটা দুনিয়ায় আরেকবার জানান দিলেন।

অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ব্রিসবেনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবার ফিরে এলেন। ২৫৮ বলে খেলেন ১৫২ রানের ইনিংস। তবে এবারো সেঞ্চুরির পর ছোট ইনিংসের বৃত্তে আঁটকে থাকার একটা ভয় ছিল। তবে এবার আর সেই ভুল করেননি। এবার অ্যাডিলেডে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও করলেন ৫১ রান।

হয়তো আগের দুবারের ভুলটা এবার বুঝতে পেরেছেন হেড। এবার আর হাটবেন না আগের পথে। ভুলটা বুঝতে পারলেই বরং ভালো। ট্রাভিস হেডের ভবিষ্যতটা হোক ভুলহীন। ধারালো ব্যাটটা আরো ধারাবাহিক হোক।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...