কেউ চিরস্থায়ী নয়, কেউ ধ্রুব নয়। কিন্তু ভারতীয় ওয়ানডে সেট-আপে শ্রেয়াস আইয়ার যেন অনড় এক ভিত্তি। প্রতিদিনই যেন নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। ম্যাচ পরিস্থিতি যেমনই হোক, তিনি থাকেন একই ছন্দে, একই ধৈর্যে। আর হাতে যখন খোদ রোহিত শর্মার ব্যাট, তখন তো দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া তাঁর জন্য বাধ্যতামূলক!
কখনও রোহিত শর্মা আলো ছড়ান, কখনও বিরাট কোহলি। কিন্তু শ্রেয়াস আইয়ার যেন প্রতিদিনই পারফর্ম করে চলেছেন, দলের ছন্দটা ঠিক রাখছেন নীরবে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৯ রানের ইনিংস, ৯৮ বলের ধৈর্যশীল লড়াই—যেখানে ৪৬টি ডট বল কোনো সমস্যা নয়, বরং প্রয়োজন ছিল পরিস্থিতি সামলে এগোনোর।
৩০ রানের মধ্যে যখন তিন উইকেট হারিয়ে ভারত বিপর্যস্ত, তখন অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে একপ্রকার দুর্গ গড়ে তুললেন শ্রেয়াস। চতুর্থ উইকেটে গড়লেন ৯৮ রানের পার্টনারশিপ, যেখানে স্ট্রাইক রেট ছিল ৮১—একেবারে পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী খেলা।
শ্রেয়াসের সবচেয়ে বড় গুণ তাঁর অ্যাডাপ্টিবিলিটি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, দলের চাহিদা বুঝে, পরিস্থিতির দাবিতে নিজেকে বদলে নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর অনন্য। শেষ ছয় ইনিংসে মাত্র দু’বার হাফ সেঞ্চুরির আগে আউট হয়েছেন, প্রতিটা ইনিংসেই দলের ভরসা হয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে। ভারতীয় মিডল অর্ডারে ধীরে ধীরে সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গাটাই দখল করে নিচ্ছেন তিনি।
সত্যিই ভারতের মিডল অর্ডারের স্থপতি বনে যাচ্ছেন শ্রেয়াস! রোহিত শর্মা নিজের ব্যাটটা যোগ্য হাতেই তবে তুলে দিয়েছেন।