সবুজ পিচ আর কন্ডিশন মিলিয়ে পেসারদের জন্য আদর্শ একটা পরিস্থিতি। সেই কারণেই কিনা টস জিতে অধিনায়ক রোহিত শর্মা আগে বোলিং করাটাই শ্রেয় মনে করলেন। কিন্তু ওভালের পিচে লাল বলটার যথার্থ ব্যবহার করতে পারেননি ভারতীয় পেসাররা। শুরুটা ভালো হলেও স্মিথ-হেডদের সামনে অসহায় ছিলেন শামি-সিরাজরা। অজিরাও চড়েছে ৪৬৯ রানের পাহাড়ে।
ভারতের বোলারদের মধ্যে মন্দের ভালো ছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। ২৮.৩ ওভার বল করে ১০৮ রানে চার উইকেট নেন এই পেসার। বোলারদের এমন পারফরম্যান্সের পর সিরাজও স্বীকার করে নিলেন আরো ভালো বোলিং করতে পারতেন তারা।
৭৬ রানেই অজিদের তিন উইকেট তুলে নিয়ে সূচনাটা মন্দ করেনি ভারত। তবে এরপরই পালটা আক্রমণ শুরু করেন ট্রাভিস হেড। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করে তুলে নেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ট্রাভিসের এমন পাল্টা আক্রমণের পর নিজেদের পরিকল্পনা বদল করতে বাধ্য হয় ভারত। প্রথম দিন হেডকে যথেষ্ট বাউন্সার না করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ভারতকে। দ্বিতীয় দিনে তাই একের পর এক বাউন্সার ধেয়ে আসতে থাকে হেডের দিকে।
সিরাজ বলেন, ‘গতকাল পিচে বাউন্স ও সিম মুভমেন্ট ছিলো। কিন্তু ছয় মিটার লেন্থ থেকে যথেষ্ট সুইং ছিলো না যা ব্যাটারদের কাজ সহজ করে দেয়। হেড অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। তাকে আমরা আরেকটু ভালো লাইনে বোলিং করতে পারতাম।’
সিরাজ আরো বলেন, ‘আমরা ঠিক করি হেডকে শুধু বাউন্সার করব। তাতে সে যদি বাউন্ডারি মারে তাহলেও সমস্যা নেই। আমরা সেই পরিকল্পনায় লেগে থাকি এবং সাফল্য পাই। আমরা চাপ প্রয়োগ করেছিলাম এবং খুব বেশি রানও দেইনি। আমরা বাউন্সারের সঠিক ব্যবহারই করছিলাম কিন্তু সুযোগ গুলো সব ফাঁকা জায়গায় পড়ছিলো।’
সিরাজ মনে করেন তবুও যথেষ্ঠ ভালো বোলিংই করেছেন তারা নাহয় অস্ট্রেলিয়া সহজেই ৫০০ রান পেড়োতে পারত, ‘আমার বোলিংয়েই চার-পাঁচটি সুযোগ তৈরি হয়েছিলো। আমরা যদি ভালো বোলিং না করতাম তাহলে অস্ট্রেলিয়া ৫০০ রান পেড়িয়ে যেত।’
দ্বিতীয় দিনে পিচ থেকে আরেকটু বেশি সাহায্য পাওয়া গেছে বলেও মত সিরাজের, ‘এদিন পিচে আরো বেশি পেস এবং অসমান বাউন্সও ছিলো। আমরা ভালো বোলিংও করেছি। কিন্তু হেড যেভাবে ব্যাট করেছে তাতে সে আমাদের লেন্থকে আরো পেছনে নিতে বাধ্য করেছে।’