সারা পৃথিবীর সব ক্রিকেট খেলুড়ে দেশই কমবেশি এই সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের জাতীয় দলের খেলোয়াড় হুট হাট অবসর নিয়ে ফেলছেন ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলার স্বার্থে এটা ঠেকানোর কোনো কার্যকর উপায়ও পাওয়া যাচ্ছে না।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা এরকম তিনটি আঘাত পেয়েছে। একসাথে অবসর নিয়ে ফেলেছেন দানুশকা গুনাথিলাকা এবং ভানুকা রাজাপাকশে। দু’জনই অবসর নিয়েছেন। সাথে আছেন অ্যাঞ্জেলো পেরেরাও। আরও কয়েক জন খেলোয়াড়ের অবসরের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এর আগেও এক গাদা ক্রিকেটার অবসর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন।
এখন এই স্রোত ঠেকাতে নতুন কিছু আইন করেছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) নতুন এই আইন অনুযায়ী অবসর নিতে গেলে তিন মাস আগে বোর্ডকে নোটিশ দিতে হবে এবং অবসরের ছয় মাস পর পর্যন্ত ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলার অনাপত্তিপত্র পাওয়া যাবে না। তবে, কোনো দেশের বোর্ড কি আদৌ এই আইন আরোপের ক্ষমতা রাখে কি না – সেই নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।
শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে সমস্যাটা একটু জটিল রূপ ধারণ করেছে তাদের নতুন ফিটনেস আইনের কারণে। শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রশ্ন উঠছে। ফলে জাতীয় দলে সুযোগ পেতে হলে ফিটনেসের নতুন কিছু বেঞ্চমার্ক ঠিক করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট।
এর ফলে জাতীয় দলে খেলার চেয়ে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা অনেক ভালো মনে করছেন খেলোয়াড়রা। ফলে তাদের ঠেকাতে নতুন আইন করেছে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা।
তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে খেলোয়াড়দের তিনটি আইন মানতে হবে। প্রথমত অবসর নেওয়োর তিন মাস আগে এই ইচ্ছার কথা বোর্ডকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। দ্বিতীয় অবসর কার্যকর হওয়ার ছয় মাস পার না হলে কোনো খেলোয়াড় বিদেশি লিগে খেলার জন্য এনওসি পাবেন না। এবং তৃতীয়ত কোনো অবসর নেওয়া খেলোয়াড় ঘরোয়া ক্রিকেটের কমপক্ষে আশি ভাগ ম্যাচ না খেললে এলপিএল খেলার সুযোগ পাবেন না।
এসএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাশলি ডি সিলভা জোর গলায় দাবি করেছেন, তাঁরা আশা করেন বাকি দেশগুলো তাদের ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলোয়াড়দের নেওয়ার ক্ষেত্রে এই এনওসির ব্যাপারটাকে সম্মানের সাথে দেখবেন, ‘অধিকাংশ দেশই এনওসি ছাড়া তাদের লিগে বিদেশী খেলোয়াড়কে আসতে দেয় না। আমরাও আমাদের লিগে এনওসি ছাড়া কোনো খেলোয়াড় নেই। ফলে অবসর নেওয়া খেলোয়াড় হলেও তার ছয় মাস পর্যন্ত এনওসি লাগবে।’