ওয়ানডে দলে সৌম্য সরকার এখন এক প্রকার নিয়মিত নাম হলেও বাকি দুই ফরম্যাটে তিনি অনুপস্থিত। আর ফরম্যাটটা যদি হয় লাল বলের, তবে সৌম্য সরকার নামটা তো এখন যোজন যোজন পিছিয়ে পড়া। তবে এবারের এনসিএলে সৌম্য জানান দিলেন টেস্ট ক্রিকেটটাতেও কতটা পারদর্শী তিনি।
এনসিএলে এবার খুলনা বিভাগের হয়ে খেলেছেন সৌম্য। দলের হয়ে ১৪ ইনিংস ব্যাট করতে নেমে ৪৫.২১ গড়ে ৬৩৩ রান করেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৬ রানের এক দুরন্ত ইনিংস। এক সেঞ্চুরি ব্যতিরেকেও পাঁচ বার করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। ১২টি ছক্কা হাঁকানোর সাথে সাথে চার মেরেছেন ৮৫টি।

৬২৫ রান নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ঢাকা বিভাগের মার্শাল আইয়ুব। শেষ ইনিংসে রান শূন্যতায় ভুগলেও পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই দারুণ ছন্দে ছিলেন সৌম্য। শেষ ইনিংসে শূন্য রানে ফেরায় তাঁর এ যাত্রা আটকে যায় ৬৩৩ রানেই। তবে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে রয়েছেন তিনি। ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটছে ঠিক যেন সেই পুরনো সৌম্যর মত করে। এই মুহুর্তে রানের তালিকায় সবার উপরে থাকা সৌম্যকে এখন জাতীয় দলেও ভাবা উচিত।
ওয়ানডের সাথে সাথে বাকি দুই ফরম্যাটেও সৌম্য ফিরলে লাভটা দিনশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেটেরই। সৌম্যর পরবর্তী গন্তব্য এখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ডিরেক্ট সাইনিংয়ে নব্য নোয়াখালী এক্সপ্রেস তাকে দলে নিয়েছে। ফর্মে থাকা সৌম্য এবার বিপিএলে পারফর্ম করলে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেল এক মধুর বিপদে পড়তে পারে।

বিপিএলের পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করে জাতীয় দলের দরজায় বেশ জোরাল আবেদন রাখবেন সৌম্য। আর তাতে করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে হয়ত তাকে জায়গা দেওয়ার একটা সোরগোল পড়ে যেতে পারে। কিন্তু সৌম্যর কি আদোতে লিটন দাসের দলে জায়গা হবে? সৌম্য বড্ড দেরী করে ফেললেন বোধহয়।










