‘যারা দাদাকে এক দিনের দল থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে এই ইনিংসটা তাদের গালে থাপ্পড়। দাদার কিংবদন্তি চিরন্তন …’
দিনটা ২৫ মে ২০০৮। স্থান। ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা। পাত্রের নাম বোধকরি না বলে দিলেও চলে। তিনি সৌরভ গাঙ্গুলি। দ্য, প্রিন্স অব ক্যালকাটা।
সেটা ছিল বিশ্বের জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) জন্ম সাল। সেকালে একটা টি-২০ ক্রিকেটে ১৭৪ রান মানে প্রচুর রান। একপ্রকার ম্যাচ উইনিং স্কোর। শন মার্শ, কুমার সাঙ্গাকারা, যুবরাজ সিং, মাহেলা জয়াবর্ধনে সমৃদ্ধ প্রীতি জিনতার মালিকানাধীন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব স্কোরবোর্ডে জেতার মত রানই তুলেছিল।
কিন্তু, সেখানে মূর্তির মত আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়ে যান একজন – সৌরভ গাঙ্গুলি। যে লোকটাকে স্লো ব্যাটিং, ফিটনেসের অভাবের অজুহাতে এক দিনের দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল।
সেই লোকটাই ছয়টি বাউন্ডারি ও ছয়টি ওভার বাউন্ডারি সহযোগে ১৬২.২৬ স্ট্রাইক রেট নিয়ে পুরো ইনিংস জুড়ে অপরাজিত রয়ে যান। মাত্র ৫৩ বলে ৮৬ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জেতালেন।
পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার উমর গুলের মাত্র ১১ বলে ২৪ রানের ঝোড়ো ‘ইমপ্যাক্ট’ ইনিংস যোগ হয় সাথে। গুলের সহচর্যে পাঞ্জাবের বোলারদের ওপর শুরু হয় ‘দাদাগিরি’। শেষ ৫ ওভারে ৭৩ রান তুলে দলকে মাত্র ২ বল বাকি থাকতে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন সৌরভ।
সৌরভ সম্পর্কে ম্যাচ শেষে জনৈক সাংবাদিকের মন্তব্যটি ম্যাচটির সাথে সাথে সেই সময় সৌরভের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ছবি তুলে ধরে অস্ফুটে বলে ওঠে।