তিন স্পিনার নিয়ে বাংলাদেশে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা। খালি চোখে বিষয়টি স্বাভাবিক বটে। বাংলাদেশের স্পিন বান্ধব উইকেটে স্পিনারদের আধিপত্য চিরন্তন সত্য। কিন্তু তাদের এই পদক্ষেপ আরও একবার হতে পারে হিতে বিপরীত।
নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ সফর নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ছিল সন্দিহান। তবে সেই শঙ্কা কেটে গেছে। দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আসছে প্রোটিয়ারা। এমন কি স্কোয়াডও ঘোষণা করে ফেলেছি দেশটি। স্কোয়াডে রয়েছে তিনজন স্পিনার।
শেষ যে বার দক্ষিণ আফ্রিকা এসেছিল বাংলাদেশে, সেবারও তারা একই পরিকল্পনায় স্পিনার বাড়িয়ে এনেছিল। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে কুপোকাত হতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। স্পিনারদের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নিয়ে, তাদের কাবু হতে হয়েছিল বাংলাদেশের পেস ইউনিটের কাছে। এবারও হয়ত একই রকম ফাঁদে পা দিতে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সাম্প্রতিক সময়ে পেসারদের কল্যাণে সাদা পোশাকে দুর্দান্ত ফলাফল এসে ধরা দিচ্ছে টাইগার শিবিরে। দেশের মাটিতেও পেসাররা দেখাচ্ছেন ঝলক। গতানুগতিক মানুষিকতা থেকে প্রোটিয়ারা পূর্ণ প্রস্তুতি নেবে স্পিন সামলানোর। অন্যদিকে, বাংলাদেশকেও নিজেদের স্পিন বিষে কাবু করতে চাইবে।
২০১৫ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে, প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দুই পেসার নিয়ে খেলেছিল। সেই ম্যাচটি হেরেছিল টাইগাররা। কিন্তু পরবর্তী দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায় পেসারদের কল্যাণে। দুই ম্যাচে পেসারদের পকেটে গিয়েছিল ৯টি উইকেট। সেই দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের ১৯টি উইকেট তুলে নিয়েছিল টাইগার বোলিং ইউনিট। তবে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের অংশীদার ছিলেন পেসাররাই।
তো একই রকম ধুম্রজাল এবারও সৃষ্টি করতে পারে বাংলাদেশ দল। তাছাড়া বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের পেসাররা পূর্বের চাইতেও বেশি উজ্জীবিত। প্রতিপক্ষকে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলতে সদা প্রস্তুত। এছাড়া ভারতের মাটিতে ধরাশায়ী হলেও, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মত টেস্ট সিরিজ জয়ের স্মৃতি নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
ঘরের মাঠ বাংলাদেশের জন্য রীতিমত একটা দূর্গ। এখানে খাবি খেয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মত তাবড়, তাবড় দলগুলো। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ যে বার এসেছিল, সেবার অবশ্য টেস্ট সিরিজ ড্র হয়েছিল বৃষ্টির বাগড়ায়। এবার অন্তত দক্ষিণ আফ্রিকাকেও পরাজয়ের স্বাদ দিতে চাইবে বাংলাদেশ।