মরক্কোর রেকর্ডের দিনে ফিকে স্পেনের টিকি-টাকা

আগের ম্যাচে জাপানের কাছে হারলেও বিশ্বকাপের ফেভারিট তালিকা থেকে স্পেনকে বাদ দেয়নি কেউ। মঞ্চ প্রস্তুতই ছিলো তাদের জন্য। পুরো ম্যাচে গরপরতা পারর্ফম করা স্পেন টাই ব্রেকারে আরো একবার হেরে বিদায় নিলো। গ্রুপ পর্বে সবাইকে চমকে দেয়া মরক্কো এবার ইতিহাসের জন্ম দিয়ে প্রথমবার জায়গা করে নিলো বিশ্বকাপের শেষ আটে।

আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শেষ আটে যাবার লড়াইয়ে প্রথম থেকে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও স্পেন গোছালো আক্রমণ করতে পারছিলো না। ১১ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি-কিক পায় মরক্কো। আশরাফ হাকিমির শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে গেলে লিড নেয়া হয়নি মরোক্কোর। ২৭ মিনিটে জর্ডি আলবার ক্রস থেকে বল পেয়ে মার্কো আসেনসিও লক্ষভেদ করতে পারেননি। ৩৩তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে মরক্কোর মাসাওয়ি শট ঠেকিয়ে দেন উনাই সিমোন।

পুরো প্রথমার্ধে বল দখলে একছত্র আধিপত্য থাকলেও গোলমুখে মাত্র একটি শট নিতে পারে স্পেন। সেটিও আবার লক্ষ্যভ্রষ্ট। নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমার্ধে স্পেনের সবচেয়ে শট নেবার ইতিহাস এটি।

দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় সমান সমান দুইদল। দুইদলই বেশ কিছু আক্রমণ করে কিন্তু কোনোটিই গোলমুখে ছিলো না। পুরো ৯০ মিনিটের খেলায় দুইদলই সমান ৪ টি শট নেয় যার মাত্র একটি ছিলো অনটার্গেট। দুইদলই মাঝমাঠের দখল নিতে বেশি আগ্রহী ছিলো তাই প্রতিপক্ষের রক্ষণের পরীক্ষা নিতে পারেনি কোনোদলই। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনোদলই গোল করতে না পারায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ে যেন নির্ধারিত সময়ের প্রতিফলনই দেখা গেলো! যদিও অতিরিক্ত সময়ে সহজ গোলের সুযোগ পেয়েছিলো দুইদলই কিন্তু কোনোদলই গোলের দেখা পায় নি। এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মত খেলা গড়ায় টাই ব্রেকারে। দ্বিতীয় আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে পেনাল্টি শ্যুট আউটে গেলো মরক্কো। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে উরুগুয়ের বিপক্ষে ঘানা টাই ব্রেকারে হেরে যায়।

টাইব্রেকারের মরক্কোর দুই শটে সাবিরি আর জিয়াস গোল করলেও স্পেনের হয়ে মিস করেন সারাবিয়া আর সোলার। এরপর সার্জিও বুস্কেটসও পেনাল্টি মিস করেন। মরক্কোর রূপকথার আজকের অধ্যায়ে শেষ তুলির আচর দেন স্পেনে জন্ম নেয়া মরক্কোর আশরাফ হাকিমি।

টাইব্রেকারে মরক্কোর জয়ের নায়ক তাদের গোলরক্ষক বুনো। ৩ টি পেনাল্টি সেভ করে মরক্কোর রূপকথার নায়ক বুনো। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো আফ্রিকার দেশটি। অঘটনের বিশ্বকাপে যোগ হলো আরো একটি পালক। একমাত্র আফ্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বকাপে টিকে রইলো তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link