পর্তুগালের পাওয়ার শোডাউন

চারদিকে আলোচনা। পর্তুগালেও রব উঠেছে তাকে প্রথম একাদশে যেন না রাখা হয়। দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে একাদশের বাইরে রাখা তবুও চমক। রোনালদো ছাড়া পর্তুগাল যেন আরো ছন্দময়। ইউরোপী পাওয়ার ফুটবল আর ছন্দ দুটোর পসরা সাজিয়ে বসা পর্তুগাল সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে পৌঁছে গেলো শেষ আটে।

চারদিকে আলোচনা। পর্তুগালেও রব উঠেছে তাকে প্রথম একাদশে যেন না রাখা হয়। দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে একাদশের বাইরে রাখা তবুও চমক। রোনালদো ছাড়া পর্তুগাল যেন আরো ছন্দময়। ইউরোপী পাওয়ার ফুটবল আর ছন্দ দুটোর পসরা সাজিয়ে বসা পর্তুগাল সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে পৌঁছে গেলো শেষ আটে।

শুধু রোনালদো নয় হোয়াও ক্যান্সেলোকেও বেঞ্চে বসিয়ে দালোতকে প্রথম একাদশে নামান সান্তোস। ম্যাচের ১৭ মিনিটে বাম পাশ থেকে হোয়াও ফেলিক্সের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে বা পায়ের দুর্দান্ত গতির শটে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে দারুণ গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জায়গায় দলে জায়গা পাওয়া গঞ্জালো রামোস। এই মৌসুমে বেনফিকার হয়ে ১৪ গোল করা এই ফরোয়ার্ড নিজের ক্লাবের ফর্ম টেনে আনলেন জাতীয় দলেও।

পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফেরায় চেষ্টা করতে থাকে সুইজারল্যান্ড । উলটো ৩৩ মিনিট ব্যবধান দ্বিগুণ করে পর্তুগাল । কর্নার থেকে অসাধারণ হেডে গোল করেন ৩৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার ও এ ম্যাচে পর্তুগীজ অধিনায়ক পেপে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক খেলোয়াড় পেপে যিনি নক আউট রাউন্ডে গোল করলেন। ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় সান্তোস শিষ্যরা।

৫১ তম মিনিটে কার্যত সুইজারল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন রামোস। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ৩-০ গোলে। এর চার মিনিট পর আবারো রামোস ম্যাজিক। এবার রামোসের এসিস্টে গোল করেন লেফট ব্যাক রাফায়েল গুরেইরো। ৪-০ গোলের লিড নেয় পর্তুগাল।

খেলার স্রোতের বিপরীতে গোল পায় সুইজারল্যান্ড। কর্নার থেকে পাওয়া বলে গোল করেন আকানজি। এরপর শাকিরি, শাকারা বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোলের সুযোগ তৈরি হয়নি খুব একটা। সুইজারল্যান্ড এর ওই ছোট সুখস্মৃতি দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি রামোস।

ফেলিক্স এর পাস থেকে অসাধারণ ফিনিশিং এ গোল করে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন রামোস। পর্তুগাল লিড নেয় ৫-১ গোলে। ২০০২ সালে মিরোস্লাভ কোস্লার পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়ার প্রথম ম্যাচেই হ্যাট্রিক করলেন রামোস।

নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ নক আউটে ৪ বা ততোধিক গোল করলো পর্তুগাল। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে রাফায়েল লিয়াও এর গোলে ৬-১ গোলের বিশাল লিড পায় পর্তুগাল।

৭২ মিনিটে সাব হিসেবে নামেন রোনালদো। এ ম্যাচ থেকেই হয়তো জাতীয় দলে রোনালদোর শেষের শুরু হলো। দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে ছাড়াই যে ছন্দ দেখিয়েছে পর্তুগাল তাতে তাদেরকে এবারের বিশ্বকাপ জয়ে ফেভারিট ধরতেই হবে।

এরপর আর কোনো গোল না হলে ৬-১ গোলের দুর্দান্ত জয় নিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করলো পর্তুগাল। আগের ম্যাচেই দক্ষিন কোরিয়ার সাথে হোঁচট খাওয়া পর্তুগীজরা ফিরল ভয়ংকর রূপে। শেষ আটে তারা মুখোমুখি হবে রূপকথার মত বিশ্বকাপ কাটাতে থাকা মরক্কো।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...