টুর্নামেন্টের শুরুতে স্পেনকে অনেকেই হয়তো ফেভারিটের তালিকায় রাখেনি। গুটি কয়েক ইয়ং স্টার ছাড়া স্কোয়াডে ভরসার করার মত তেমন কেউ ছিলও না। তবে খেলা মাঠে গড়াতেই বদলে গিয়েছে সব হিসেব নিকেশ। তারুণ্য নির্ভর দলটাই গ্রুপ পর্বে ইতালি আর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে। আর সবশেষ আলবানিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোতে পা রাখলো তাঁরা।
অবশ্য টানা দুই জয়ের কল্যাণে আগেই নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল স্প্যানিশদের। তাই তো নিয়মিত একাদশের দশ জনকে ছাড়াই তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামে তাঁরা। যদিও আলবেনিয়া বরাবরের মতই ৪-২-৩-১ ছকে নিজেদের পূর্ণ শক্তি নিয়েই একাদশ সাজায়।
তবে তাঁদের স্বপ্নে শুরুতেই আঘাত করেন ফেরান তোরেস। দানি অলমোর দুর্দান্ত এক পাস শান্ত ভঙ্গিতে নিয়ন্ত্রণে আনেন তিনি, এরপরই গোলপোস্টের বাম পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান। ম্যাচের মাত্র বারো মিনিটে পিছিয়ে পড়া আলবেনিয়া ঘুরে দাঁড়ানো তো দূরে থাক সময়ের সাথে সাথে কেবল পিষ্ট হয়েছিল চাপে।
যদিও ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় বিরতির আগে আর কোন গোল হজম করতে হয়নি তাঁদের। দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখে স্পেন, স্কোরলাইনে পরিবর্তন আনতে না পারলেও বল দখলে রেখে ক্রমাগত পরীক্ষা নিয়েছিল প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের।
বিপরীতে কাউন্টার অ্যাটাকের মাধ্যমে দু’তিনবার ভাগ্য পরীক্ষা করেছিল বটে আলবেনিয়ান স্ট্রাইকাররা। তবে স্প্যানিশ গোলরক্ষককে তেমন কোন কষ্ট করতে হয়নি। শেষ মিনিটে অবশ্য আর্মান্ডো ব্রোজা সুযোগ পেয়েছিলেন সমতা আনার, কিন্তু ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি তিনি। ফলে আর কোন নাটকীয়তার দেখা মেলেনি।
ইনজুরি টাইমের খেলা শেষে রেফারি বাশি বাজিয়ে দিতেই শেষ হয় স্পেনের ‘পারফেক্ট’ গ্রুপ পর্ব। হ্যাটট্রিক জয়ের পর এখন তাঁরা ভরপুর আত্মবিশ্বাস নিয়েই অপেক্ষা করবে রাউন্ড অব সিক্সটিনের জন্য।