টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর থেকে বেশ অপ্রত্যাশিত প্রস্থান ঘটেছে পাকিস্তানের। তাইতো শুরু হয়েছে তাঁদের ব্যর্থতার চুলচেরা বিশ্লেষন। পাকিস্তানের সাবেক-বর্তমান সব ক্রিকেটাররা এক হাত নিয়েছেন বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের উপর। পাকিস্তানের ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ তো দলের মূল খেলোয়াড়দেরই বাদ দিতে বললেন।
আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ বৃষ্টিতে পন্ড হওয়ার সাথেই সাথেই পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে পরাজয় বেশ ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে। বাবর-রিজওয়ানদের ভূমিকা নিয়ে শেহজাদ বলেন, ‘গত পাঁচ বছর যাবত বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহীন শাহ আফ্রিদিরা জাতীয় দলে খেলেই যাচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি ম্যাচই এই কয়েকজন ছিলেন। যার ফলে তাঁরা বেশি বেশি সুযোগ পেয়েছেন।’
তাছাড়া শেহজাদ দলের কাঠামো এবং নেতৃত্বহীনতার কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘দলের ভিতর এমন গ্রুপিং চলছে। সেখানে নেতৃত্বহীনতার বিষয়টি স্পষ্ট। তারা সবসময় বলে আমরা আগের ভুলগুলো থেকে শিখছি। এখন তাঁরা কি শিখছে?’
শেহজাদ আরো বলেন, ‘কানাডার বিপক্ষে আপনার যখন বেশি ভালো স্ট্রাইক রেটের প্রয়োজন ছিল, তখন রিজওয়ান সবচেয়ে ধীরগতির একটি অর্ধশতক পূর্ণ করেন, অন্যদিকে বাবর আজমও খেলেছেন ধীরগতি ইনিংস। সেখানে অবশ্য পিচের উপর কোনো ভূত ছিল না। ব্যক্তিগত স্বার্থ অর্জনে দেশের বিপদ ডেকে এনেছেন তাঁরা। নেতৃত্বহীন অবস্থা চলছে পাকিস্তানে। আর গণমাধ্যম কতৃক বানানো একজন রাজা তো আছেনই পাকিস্তান দলে।’
গত চার-পাঁচ বছর যাবত পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেললেও, দেশের সাফল্যের কারণ হতে পারেননি এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন। শেহজাদ এই বিষয়ে আরো বলেন, ‘তাঁরা দলে ক্রিকেট খেলেনি, বরং তাঁরা শুধুই রাজনীতি করে গিয়েছে। ফিটনেসের কথা ভুলে গিয়ে, তাঁরা রক্ষা করে গিয়েছে বন্ধুত্বের বন্ধন।’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শেহজাদ। তাঁর মতে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি দু’টি ভুল করেছেন। প্রথমটা বাবরকে অধিনায়কত্বে আবার ফিরিয়ে আনা। আর দ্বিতীয় ভুল, ওয়াহাব রিয়াজকে নির্বাচকের দায়িত্ব দেয়া। তাঁদের দুইজনের কাজেই এখন অপেশাদারিত্বের ছাপ।
শেহজাদের মতে, দল থেকে বাবর আজম, শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান এবং হারিস রউফকে বাদ দেয়ার সময় এসেছে। এদের কারণেই পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ব্যর্থতার উদয় ঘটে। তাই তিনি পরাজয়ের গ্লানি মুছতে সাহসী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান করেছেন।