স্পিনিং অলরাউন্ডারদের কদর কী উপমহাদেশেই!

উপমহাদেশের সফল স্পিন অলরাউন্ডারদের মধ্যে একজন অরবিন্দ ডি সিলভা। ক্রিকেটে উইনিং মেন্টালিটির দিক থেকে যদি এক, দুই, তিন করা যায়। অরভিন্দ ডি সিলভা, যুবরাজ সিং এখানে থাকবেন। অন্যদিকে থাকবেন সাকিব-জাদেজা। এরা ব্যাসিকালি সীমিত ওভারের ফরম্যাটে!

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর গ্রেটেস্ট টেস্ট অলরাউন্ডার এভারের একটা তালিকা পড়লাম যেখানে উপমহাদেশের বাইরের স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মাত্র দুজন! তাঁদের আবার অদ্ভুত মিল!

অফ /লেগ স্পিনে কাঁপিয়েছেন, ব্যাটিংয়ে ইম্প্যাক্ট আছে আবার কমেন্ট্রি বক্সে তিনি গ্রেটেস্ট অফ অলটাইম!  রিচি বেনো! টনি গ্রেগ! (গ্রেগ আবার মিডিয়াম ফাস্টও করেছেন)

অ্যালান ফিলিপ নটও আছেন, স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। যদিও তিনি খ্যাতনামা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ছিলেন মূলত।

সম্পূর্ণ তালিকা: ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, ভিনু মানকড়, শন পোলক, কপিল দেভ, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, রবি শাস্ত্রী, গ্যারি সোবার্স, ইয়ান বোথাম, জ্যাক ক্যালিস, রির্চার্ড হ্যাডলি। কয়েকটা নাম চিনি না, বা জানা হয়নি।

তবে একটা নাম আছে আলফ্রেড নোবেল!  তাঁর ভাইয়ের নাম ইগ নোবেল! তালিকা আরো লম্বা করলে আরো নাম আসবে, যাদের ব্যাটিং বোলিংয়ের থেকে অনেক এগিয়ে! কিন্তু বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ সব অবদান আছে।

শচীন টেন্ডুলকার, সনাথ জয়াসুরিয়া, শোয়েব মালিক, অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের মোহাম্মদ হাফিজরা। এদের মধ্যে জয়াসুরিয়া! ওয়ানডে ফরম্যাটে অনন্য জায়গায়, ১৩ হাজার রান, ৩ শত উইকেট! অবিশ্বাস্য।

তবে বাংলাদেশে খুব কার্যকরী না হলেও একটা লম্বা তালিকা আছে এই ক্যাটাগরির অলরাউন্ডারের। যারা মূলত বোলিংয়েই অবদান রেখেছেন আবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কার্যকরী ব্যাটিং করেছেন মাঝেমধ্যে- নাইম ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী শুভ, মোহাম্মদ রফিক।

আবার হাত ঘোরাতে পারতেন, আশরাফুল। বা ইদানিং বোলিং না করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উপমহাদেশে এই ট্রেন্ডের একজন বড় নাম শহীদ আফ্রিদি। ব্যাট হাতে বড় ম্যাচে রান আছে আফ্রিদির, আর বল হাতে জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ পর্যন্ত দারুণ করেছেন। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এমভিপি, ওয়ানডে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

এটা বললাম, হঠাৎ মনে হচ্ছিল সাবকন্টিনেন্টের বাইরে মনে হচ্ছিল স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হাতে গোনা। ড্যানিয়েল ভেটোরি ছাড়া নামই মাথায় আসতেছে না। তবে টি টোয়েন্টি বা শর্টার ফরম্যাটে আছে মইন আলি। যে টেস্টেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন।

আর কে আর কে? কেভিন পিটারসেন! বা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল হাত ঘুরিয়ে তেমন সফলতা পাননি!

কার্ল হুপার বল করতেন, বল করতেন রামনরেশ সারওয়ান! মাইকেল বেভানও স্পিন বল করতেন। অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, বল করতেন স্পিন আবার দৌড়ে এসে মিডিয়াম পেস। সাথে ছিলেন মাইকেল ক্লার্ক।

ক্রিস গেইল মাঝেমধ্যেই এসে উইকেট নিয়ে নেন। আরো আছেন সুরেশ রায়না, বীরেন্দ্র শেবাগ! কেনিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ টিকোলোর আছে ৯৪ ওয়ানডে উইকেট।

আবার বোলিং থেকে ব্যাটসম্যান হয়ে যাওয়ার যে তরিকা, তাতে করে স্টিভ স্মিথকে নিয়ে উপন্যাস লেখা যায়! জা পল ডুমিনির কথাও বলা যায়, কিংবা তিলকারত্নে দিলশান। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথও বল করেছেন।

কিন্তু তাদের বোলার আইডেন্টিটি আসবে নিজ নিজ আত্মজীবনীরও শেষ দিকের অধ্যায়ে। ঠিক, যেমন বোলার হিসেবে আসবে, মিশেল স্যান্টনার, নাথান ম্যাককালাম, নিকি বোয়ে, ফন পার মারউইয়ে।

এদিক থেকে এগিয়ে আরেকজন! ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা টি টোয়েন্টি প্লেয়ার ব্র্যাড হজ, বিপিএলেও বরিশাল বার্নার্সের হয়ে পারফর্ম করেছেন। বিগ ব্যাশের অন্যতম তারকা। জিম্বাবুয়ের আছে গ্রান্ট ফ্ল্যাওয়ার, শন উইলিয়ামস!

টেস্টে এসব নামকে ছাপিয়ে গেছেন একজন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। গোটাকয়েক শতক আর বোলিংয়ে অবিশ্বাস্য ভ্যারাইটি অশ্বিনকে অনন্য এক জায়গায় নিয়ে গেছে। আর কে আর কে যাকে আমি মিস করে যাইতেছি!

যাই হোক স্ট্যাটের দিক থেকে শচীন, জয়াসুরিয়া, আফ্রিদির মতো ইম্প্যাক্টফুল কাউকে পাচ্ছি না। আর বিদেশে ভেট্টোরি, মঈন আলীর মতো কাউকে পাচ্ছি না। আপনারা পেলে জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link