জম্পেশ লড়াইয়ে কামিন্স-ভুবির জয়

একটা সময় আকাশী-নীল জার্সিতে তাঁর বিশাল সুইং দেখার জন্য বসে থাকতো ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদিও আগের দিন ফুরিয়েছে, গতির অভাব এমন অজুহাতে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। তবে বোলিংয়ের ধার কমেনি, সবশেষ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো স্পেল করেছেন। শশাঙ্ক সিং, আশুতোষ শর্মাদের দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও জিতেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ সেটার পিছনে বড় কারণ তিনি।

এদিন এই পেসার চার ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেছেন ৩০ রান, বিনিময়ে ঝুলিতে পুরেছেন গুরুত্বপূর্ণ দুইটি উইকেট। নতুন বলে তাঁর অপ্রতিরোধ্য বোলিংয়ে হায়দ্রাবাদের জয়ের পথ সহজ হয়েছিল। এছাড়া প্যাট কামিন্সের কথা আলাদা করে বলতে হয়, যখনি বল করতে এসেছেন তখনি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে ফেলেছেন ব্যাটারদের। তাছাড়া ঠান্ডা মাথায় নেতৃত্বের মুন্সিয়ানাও দেখিয়েছেন তিনি।

বরাবরের মতই এই ডানহাতিকে দিয়েই ইনিংসের উদ্বোধন করেছিলেন অধিনায়ক কামিন্স। অধিনায়কের ভরসার প্রতিদান দিতে ভুল করেননি, সেই ওভারে দিয়েছেন এক রান সেটাও আবার এসেছে লেগ বাই থেকে। অর্থাৎ মেডেন ওভার দিয়ে শুরুটা করেছিলেন তিনি।

অন্যপ্রান্তে সেটারই ফায়দা তুলেছেন অজি পেসার, দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন তিনি। এই ওভারেও আসে কেবল এক রান।

পরের ওভারে আবার দুটো চার হজম করলেও প্রভুসিমরানের উইকেট শিকার করেন ভারতীয় তারকা। প্রতিপক্ষের দলপতি শিখর ধাওয়ানকেও নিজের তৃতীয় ওভারে আউট করেন তিনি। ২০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখনি ম্যাচ থেকে দূরে সরে গিয়েছিল পাঞ্জাব, সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে।

শেষদিকে শশাঙ্ক সিংয়ের কল্যাণে খানিকটা আশা জেগেছিল স্বাগতিক দর্শকদের হৃদয়ে, আরেক ব্যাটার আশুতোষ শর্মাও দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তাঁকে। দু’জনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের রোমাঞ্চ ছড়িয়ে গিয়েছিল শেষ ওভার পর্যন্ত। প্রায় অসম্ভব এক সমীকরণ মেলানোর লক্ষ্যে তাঁরা লড়ে গিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত।

ছয় বলে প্রয়োজন ছিল ২৯ রানের, দুই বলে দুই ছক্কা আর মাঝখানে দুই ওয়াইডের ফলে সমীকরণ চলে আসে হাতের নাগালে। কিন্তু ভাগ্য সহায়তা করেনি তাঁদের, তাই তো শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়েও জয়ের হাসি হাসতে পারেনি তাঁরা। দুই রানের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে পাঞ্জাবকে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link