২০০৯ সালে মিরপুরে ত্রি-দেশীয় সিরিজের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগার ব্যাটাররা সেদিন গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৫২ রানেই। সহজ জয়ের স্বপ্নে বিভোর লঙ্কানরা তখনও বুঝতে পারেনি তাঁদের জন্য কি অপেক্ষা করছে – তবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হতেই বিপদ টের পায় সফরকারী ব্যাটাররা।
মাশরাফি মর্তুজার সঙ্গে জুটি বেঁধে পেসার নাজমুল হোসেন নতুন বলে ঝড় তোলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপে। দলটির টপ অর্ডারকে দাঁড়াতেই দেননি এই দুইজন; প্রথমে অবশ্য রান আউট দিয়ে শুরু। বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান জয়সুরিয়াকে প্যাভিলিয়নে ফেরান ফিল্ডার সাকিব আল হাসান। এরপর একে একে ফিরে যান জয়াবর্ধনে, উপুল থারাঙ্গাও – দুইজনকে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছিলেন নাজমুল।
এরপরই দৃশ্যপটে আসেন মাশরাফি মর্তুজা; চামারা কাপুজেদেরাকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। থিলান থিসারা বোল্ড হয়ে ফিরে গেলে লঙ্কানদের বিপদ আরো বেড়ে যায়। দলীয় ৬ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে তখন লজ্জাজনক কোন রেকর্ডের ক্ষণগণনা করছিল দেশটির সমর্থেকরা।
তবে তাঁদের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন কুমার সাঙ্গাকারা। শুধু লজ্জা এড়ানো নয়, পারভিজ মাহরুফ, মুরালিধরনের সাহায্যে দলকে জয়ও এনে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল ততক্ষণে, তখন থেকে সবচেয়ে কম রানে পাঁচ উইকেট হারানো দলটির নাম শ্রীলঙ্কা।
১৪ বছর আগের সেই স্মৃতি আবারো ফিরিয়ে এনেছে ১৯৯৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠে আরো একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে তাঁরা, তবে এবার প্রতিপক্ষ ভারত। মোহাম্মদ সিরাজ প্রায় একাই ধ্বসিয়ে দিয়েছেন স্বাগতিক লাইনআপ। মাত্র ১২ রানেই পাঁচ ব্যাটসম্যান ড্রেসিং রুমে ফিরে গিয়েছে, যেখানে চারজনকেই ঝুলিতে পুড়েছেন সিরাজ।
দ্রুততম সময়ে পাঁচ উইকেট হারানোর ঘটনা আরো আছে ক্রিকেট ইতিহাসে। ২০০০ সালেই দুই ম্যাচে এমনটা দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব৷ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা সেবছর মাত্র ২১ রানে হারিয়েছিল ব্যাটিং লাইনআপের অর্ধেককে; সেই ম্যাচ অবশ্য জিতেই ফিরেছিল প্রোটিয়ারা। মিডল অর্ডারে হ্যান্সি ক্রনিয়ের ফিফটির পর শন পোলকের দারুণ বোলিংয়ে ৩৮ রানের নাটকীয় জয় পায় তাঁরা।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৮ রানের মধ্যে পাকিস্তানের পাঁচ ব্যাটার আউট হয়েছিলেন। সেদিন গ্লেন ম্যাকগ্রা আর ব্রেট লি’র তান্ডবে সাঈদ আনোয়ার, ইনজামামরা দাঁড়াতেই পারেননি ক্রিজে; শেষপর্যন্ত ১৫৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দলটি।