গত আসরের ব্যর্থতা ছাপিয়ে যেতে চায় ঢাকা ক্যাপিটালস। এবারের লক্ষ্যটা তাই শিরোপা জয়। তবে চাইলেই তো আর হবে না, তার জন্য দরকার যথাযথ পরিকল্পনা, ভালো মানের খেলোয়াড় স্কোয়াডে রাখা। সেটা অবশ্য করেছে ঢাকা, স্কোয়াড গড়েছে তারকায় ঠাসা। তাই তো প্রশ্ন, এবারের আসরে কি সত্যিকার অর্থে ব্যর্থতার গ্লানি মুছে ফেলতে পারবে তারা?
২০২৬ বিপিএল আসরকে ঘিরে নিলামে ৩ কোটি ৩৮ লাখ খরচ করেছে ক্যাপিটালস। তাসকিন আহমেদ এবং সাইফ হাসানকে ডিরেক্ট সাইনিংয়ে দলে ভিড়িয়ে তাক লাগানোর শুরুটা করেছিল তারা। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে আগেভাগেই অ্যালেক্স হেলসকে ঘরে তুলেছিল ঢাকা, উসমান খানও আছে তাদের ডেরায়।
ঢাকা চেষ্টা করেছে ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড গড়ার। সেই লক্ষ্যে ভালো মানের ব্যাটারদের যেমন আধিক্য আছে দলে, তেমনই আছে অলরাউন্ডার এবং বোলারদেরও।

অলরাউন্ডার ক্যাটাগরির সবচেয়ে বড় নাম দাসুন শানাকা। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও নিজের দিনে হতে পারেন সর্বেসর্বা। এছাড়াও তোফায়েল আহমেদ, শামীম পাটোয়ারি কিংবা অভিজ্ঞতায় টইটুম্বুর নাসির হোসেনও বিপদের সময় রাখতে পারেন কার্যকর ভূমিকা।
ঢাকার সর্বশেষ সংযোগ আফগান ব্যাটার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। তিনি আসায় ব্যাটিং লাইনটা নিয়ে ঢাকার নেই কোনো সংশয়। এছাড়াও সাব্বির রহমানের পাওয়ার হিটিং, মোহাম্মদ মিঠুনের অভিজ্ঞতা, তাইজুলের ঘূর্ণিজাদু কিংবা তরুণ তুর্কি মারুফ মৃধাদের নিয়ে শিরোপা জয়ের একটা বার্তাই যেন দিয়ে রাখছে ঢাকা।
তবে একটা জায়গা নিয়ে দোটানায় রয়েছে ম্যানেজমেন্ট। কে হবেন দলটির অধিনায়ক। বেশ কিছু অপশন রয়েছে তাদের হাতে। সবার আগে আসা নামটা সাইফই। বর্তমান টি-টোয়েন্টি সহ-অধিনায়কের ওপর আস্থা রাখতে পারে ঢাকা। এছাড়াও মোহাম্মদ মিঠুন কিংবা তাসকিন আহমেদও হতে পারেন নেতা। সুযোগ আছে অভিজ্ঞ দাসুন শানাকারও। অবশ্য এ এক মধুর সমস্যাই বলা যায়।

এখন পর্যন্ত ঢাকার পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড দাঁড়াচ্ছেঃ অ্যালেক্স হেলস, রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, উসমান খান, দাসুন শানাকা, জুবাইরুল্লাহ আকবরি, সাইফ হাসান, তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমান, শামীম পাটোয়ারি, মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাইজুল ইসলাম, নাসির হোসেন, ইরফান শুক্কুর, তোফায়েল আহমেদ, মারুফ মৃধা, আবদুল্লাহ আল মামুন, মইনুল ইসলাম, জাইয়েদ উল্লাহ।
পরীক্ষিত সব ব্যাটার, কার্যকর অলরাউন্ডার এবং সেরা মানের বোলারদের নিয়েই ঢাকার স্কোয়াড। এক অর্থে ভারসাম্যপূর্ণই বলা যায়। অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মেলবন্ধন কাজে লাগাতে পারলে ঢাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এবারের আসরে ট্রফিটা নিজেদের ঘরে নেওয়ার।











