ক্রিকেট দুনিয়ায় একটা কথার খুব প্রচলন আছে, বিশ্বকাপ ঘনিয়ে আসলেই ফর্মে চলে আসেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। বহুল প্রচলিত কথাটা আরো একবার প্রমাণ করলেন মার্কাস স্টোয়িনিস, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা বেজে উঠতেই সেরা ছন্দে আবির্ভূত হলেন তিনি। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির পর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দুর্দান্ত অলরাউন্ডারের ভূমিকায় দেখা গেলো তাঁকে।
চলতি আইপিএলের শুরুটা ভাল ছিল না এই অজি ক্রিকেটারের, বারবার ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে তাঁদের মাটিতেই দুর্ধর্ষ এক ইনিংস খেলে আত্মবিশ্বাস ফিরে পান তিনি; আর সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই আরেক জায়ান্ট মুম্বাইকে হারিয়ে দিলেন প্রায় একা হাতে।
এদিন বল হাতে তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৯ রান দিয়েছেন এই ডানহাতি, সেই সাথে শিকার করেছিলেন সুরিয়াকুমার যাদবের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এরপর রান তাড়া করতে নেমে আবারো চালকের আসনে বসেন তিনি, তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ বলে ৬২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।
এমন পারফরম্যান্সে ভর করেই সহজ জয় তুলে নিয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস, হার্দিক পান্ডিয়াদের ছুঁড়ে দেয়া ১৪৫ রানের টার্গেট চার বল আর চার উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে গিয়েছে তাঁরা। অবশ্য শুরুতে এত সহজ মনে হয়নি, প্রথম ওভারেই ওপেনার আশীষ কুলকার্নি প্যাভিলিয়নে ফিরলে শঙ্কা জেগে উঠেছিল। তবে তিন নম্বরে নামা স্টয়োনিস কোন অঘটন ঘটতে দেননি।
অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তিনি, এর মধ্য দিয়ে জয়ের ভিত পেয়ে যায় লখনৌ। এরপর রাহুল ফিরলেও সমস্যায় পড়তে হয়নি তাঁদের, একপ্রান্ত আগলে রেখে তীরের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা। শেষপর্যন্ত আউট হওয়ার আগে জয়ের সমীকরণ একেবারে সরল বানিয়ে দেন তিনি।
মিচেল মার্শ ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েছেন, ক্যামেরন গ্রিন প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখাতে পারছেন না চলমান আইপিএলে। অস্ট্রেলিয়ার একাদশে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের দায়িত্ব তাই স্টোয়িনিসকে পালন করতে হবে। সেটারই প্রস্তুতি হয়তো নিয়ে রাখছেন তিনি।