আইপিএলের নিলামে অর্থের ঝনঝনানি শোনা যাবে সেটাই স্বাভাবিক, ঋষাভ পান্ত কিংবা শ্রেয়াস আইয়ারের পারিশ্রমিক ছাড়িয়ে গিয়েছে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানিকেও। অথচ অর্থের এত ছড়াছড়ির মাঝে অবিক্রিত থেকে গিয়েছেন অনেক তারকা ক্রিকেটার।
- ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)
আইপিএলে ব্যাটারদের প্রায় সব রেকর্ডেই ওপরের দিকে থাকে ডেভিড ওয়ার্নারের নাম। কিন্তু এবারের নিলামে কেউই আগ্রহ দেখায়নি তাঁকে নিয়ে। হয়তো গত আসরের অফ ফর্মের কারণেই তাঁর উপর পুনরায় ভরসা করতে চায়নি কোন দল।
- পৃথ্বী শ (ভারত)
একটা সময় শচীন টেন্ডুলকারের উত্তরসূরী ভাবা হতো পৃথ্বী শ-কে। অথচ নিলামে তাঁকে কিনলো না কেউ। সবশেষ আইপিএলে ২৫ গড় এবং ১৬৪ স্ট্রাইক রেটে ১৯৮ রান করেছিলেন তিনি – একেবারে খারাপ বলা যায় না, তবু ভাগ্যদেবী মুখ ফিরিয়ে নিলো এবার।
- মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)
২০২৪ আইপিএলে ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন মুস্তাফিজুর, চেন্নাইকে বিদায় বলার সময় তিনি ছিলেন যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দারুণ পারফরম করেছিলেন, কিন্তু তাতেও মন গলেনি ম্যানেজমেন্টের।
- শার্দূল ঠাকুর (ভারত)
হার্দিক পান্ডিয়ার পর শার্দূল ঠাকুরই ছিলেন পেস অলরাউন্ডার হিসেবে ভারতের প্রথম পছন্দ। অথচ শিভম দুবে, নিতীশ রেড্ডির উত্থানের পর নিজেকে ছায়ায় হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। এবারের আইপিএলেও অবিক্রীত থেকে যেতে হয়েছে তাঁকে।
- কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)
বাকি দুই ফরম্যাটে বিশ্বসেরাদের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করলেও টি-টোয়েন্টিতে কেন উইলিয়ামসন খানিকটা পিছিয়ে আছেন। যদিও বড় ইনিংস খেলা কিংবা অ্যাঙ্করিংয়ের ক্ষেত্রে তাঁকে ঘিরে পরিকল্পনা করতো দলগুলো। তবে সাম্প্রতিক রান বন্যার কারণে আইপিএলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন তিনি। কেননা বড় রান করার চেয়ে এখন স্ট্রাইক রেটটা বেশি গুরুত্ব পায়।
- জনি বেয়ারস্টো (ইংল্যান্ড)
বিধ্বংসী ওপেনার হিসেবে আলাদা সুখ্যাতি ছিল জনি বেয়ারস্টোর। কিন্তু চোট আর অফ ফর্ম মিলিয়ে আগের সেই ধার নেই তাঁর ব্যাটে। তাই তো অবিক্রীত থাকার তালিকায় নাম উঠেছে তাঁর।
- ড্যারেল মিশেল (নিউজিল্যান্ড)
২০২৩ বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স বিবেচনায় পরবর্তী আইপিএলে ড্যারেল মিশেলের চাহিদা ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু এক বছর পরই মুদ্রার অপর পিঠ দেখে ফেললেন তিনি, মেগা অকশনে তাঁর জন্য দর হাঁকায়নি কোন দল।
এছাড়া আফগানিস্তানের দুই তারকা মুজিবুর রহমান এবং নাভিন উল হক দল পাননি ২০২৫ আইপিএলে। যদিও তাঁদের সাত সাতজন সতীর্থ চড়া দামে বিক্রি হয়েছেন।
আবার ইনফর্ম অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজাকেও আইপিএল দেখতে হবে বাড়িতে বসে। এমনকি বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, কিংবা রিশাদ হোসেনও দল পেতেই পারতেন। তবে, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের হিসাব মেলানো মুশকিল।