অবশেষে পরাজয়ের রূদ্ধদ্বার ভাঙলো সিলেট স্ট্রাইকার্স

অবশেষে জয়ের দেখা পেলো সিলেট স্ট্রাইকার্স, টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর দুর্দান্ত ঢাকাকে হারিয়ে বিপিএলের এই আসরে প্রথমবারের মত পয়েন্ট অর্জন করলো তাঁরা। মাশরাফি মর্তুজার অবর্তমানে মোহাম্মদ মিথুন আর রিচার্ড এনগারাভার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের বদৌলতে পরাজয়ের ধারাবাহিকতায় ছেদ টানতে পেরেছে দলটি।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শরিফুল ইসলামের তোপের মুখে পড়ে সিলেট। প্রথম ওভারেই ওপেনার শামসুর রহমানের উইকেট তুলে নেন এই পেসার। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে তিনি হানেন জোড়া আঘাত, প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় নাজমুল শান্ত আর জাকির হাসানকে। ১৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত দলকে টেনে তুলেন অধিনায়ক মিথুন।

সামিত প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। এই জুটির কল্যাণে ম্যাচে ফেরে স্বাগতিকরা, যদিও আরাফাত সানি আর উসমান কাদিরের দারুণ বোলিংয়ে আবারও পিছিয়ে পড়ে দলটি। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে অবশ্য অবিচল ছিলেন মিথুন, মাত্র ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। তাঁর ব্যাট ভর করেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর জমা হয় বোর্ডে।

শেষপর্যন্ত এই ডানহাতির ৫৯ রানের পাশাপাশি আরিফুল হকের ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিওর কল্যাণে ১৪২ রানের পুঁজি পায় টিম স্ট্রাইকার্স। বোলারদের মধ্যে শরিফুল একাই নেন চার উইকেট।

রান তাড়া করতে নেমে চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে ভাল কিছুর ইঙ্গিত দেন সাইম আইয়ুব। কিন্তু এনগারাভা আক্রমণে আসতেই বদলে যায় দৃশ্যপট, দুই ওপেনারকেই সাজ ঘরে ফেরান এই পেসার। সাইফ হাসান আর অ্যালেক্স রস প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে দলকে জয়ের পথে ফেরানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু সাইফ রান আউট হলে ভাঙ্গে তাঁদের ৩১ রানের জুটি।

এরপর আর জয়ের আশা জাগাতে পারেনি ঢাকা, নাইম হাসান আর বেনি হাওয়েলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ক্রমাগত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তাঁরা। দলটির শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে গুলবাদিন নাইব যখন আউট হন এনগারাভার বলে, তখনো জেতার জন্য ২৩ বলে ৫৭ রান প্রয়োজন ছিল।

লোয়ার অর্ডারে তাসকিন আহমেদ অবশ্য বাউন্ডারির পসরা সাজিয়ে বসেন, তবে তাঁর ঝড়ো ইনিংস অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারেনি, শেষমেশ তাই ১২৭ রানেই থামতে হয়েছে মোসাদ্দেকদের। এরই মধ্য দিয়ে ১৫ রানে পরাজিত হলো তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link