ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরের ট্রফিগুলো যেন তাদের জন্যই অপেক্ষা করে থাকে। বছর ঘুরতেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের কোনো না কোনো শিরোপা চলে যায় আম্বানি সাম্রাজ্যের শোকেসে। ক্রিকেট এখন কেবল ব্যাট-বলের খেলা নয়, এটি হয়ে উঠেছে আধিপত্যের লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে ভারতের এই ধনকুবের পরিবার নিজেদের জমিদারির পরিধি শুধু বাড়িয়েই চলেছে।
২০১১ থেকে ২০২৫ – এই ১৪ বছরে ১১টি শিরোপা! মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ঝুলিতে পাঁচটি আইপিএল, দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি। এছাড়া ২০২৩ সালে মেয়েদের আইপিএলের প্রথম আসরেরই শিরোপা জিতে মুম্বাই। শুধু ভারত নয়, শিরোপার এই দখলদারি ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। যেখানেই যায়, ট্রফি পায় আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
২০০৮ সালে চালু হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। তখন থেকেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মালিক রিলায়েন্সের মুকেশ আম্বানি। আইপিএল ইতিহাসেরও অন্যতম সফল দল মুম্বাই। দেশের বাইরে যখনই ক্রিকেটে হাত দিয়েছে, সেখানেও সোনা ফলেছে।
গত তিন বছরে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দেশে, তিনটি আলাদা ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা—মেজর লিগ ক্রিকেটে এমআই নিউইয়র্ক, আইএলটি-টোয়েন্টিতে এমআই এমিরেটস, আর সদ্যই এসএ টি-টোয়েন্টি জিতে ইতিহাস লিখেছে এমআই কেপটাউন। জোহানেসবার্গের ফাইনালে তাঁরা ৭৬ রানে হারিয়েছে ইস্টার্ন ইগলকে।
ইংল্যান্ডে যাওয়ার পরিকল্পনাও করছে রিলায়েন্স। আকাশ আম্বানি, নিতা আম্বানিদের লক্ষ্য এখন দ্য হানড্রেড। সেখানে ওভাল ইনভিন্সিবলের ৪৯ শতাংশ কেনার ব্যাপারে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাথে সমঝোতায় পৌঁছেছে তাঁরা। দলটা এর মধ্যেই দু’টো শিরোপা জিতে গেছে। এখন আম্বানিদের যুগে কতটুকু জিততে পারে সেটাই দেখার পালা।
সব মিলিয়ে, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট মানেই আম্বানিদের আধিপত্য। যেখানে প্রতিযোগিতা, সেখানেই তাঁদের দল। আর যেখানে দল, সেখানে শিরোপার মিছিল। এখন প্রশ্ন একটাই—এই রাজত্ব কোথায় গিয়ে শেষ হবে? নাকি ক্রিকেটেও নিজেদের দখলদারিত্বের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়ে গেছে!