বাংলাদেশের টেল এন্ডারদের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার কৌশল ছিল পরিস্কার। আর সেটা হল – একের পর এক বাউন্সার দিয়ে যাওয়া। তাইজুল ইসলাম কিংবা নাহিদ রানা – শ্রীলঙ্কান পেসাররা কাউকেই ছাড় দেননি।
সিংহলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সকালের সেশনে তাইজুল ইসলাম ছিলেন মারমুখী। বাউন্ডারির ওপর ভর করে রান তুলছিলেন। বেশি তোপ যায় থারিন্দু রত্নায়েকের ওপর।
এই সিরিজ দিয়েই টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করা রত্নায়েকের এক ওভারেই পর পর দুই বলে দু’টো বাউন্ডারি হাঁকান। রান তোলেন নয় রান।
আর কোনো বিকল্প না দেখে, শ্রীলঙ্কান পেসাররা বাউন্সার কৌশলে হাঁটা শুরু করে। থারিন্দুর ওভার শেষ হওয়া মাত্রই শুরু হয় সেই লড়াই।
আসিথা ফার্নান্ডো তাইজুল ইসলামের উদ্দেশে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ছোট্ট রান আপে একটা গোলা ছুড়ে মারেন। বলটা উঠে যায় একেবারে বুক বরাবর। তাইজুল বলের লাইনে পৌঁছানোর আগেই সেটা সরাসরি আঘাত হানে তাঁর হাতে।
ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলেন তাইজুল, সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে নামলেন ফিজিও। ঝটপট লাগিয়ে দেওয়া হল ম্যাজিক স্প্রে।
তবে, দুশ্চিন্তার জায়গা হল ওটাই তাইজুলের বোলিং আর্ম! আপাতত হালকা চোট মনে হলেও, চোখে-মুখে ফুটে উঠছে অস্বস্তির ছাপ। ব্যাথা যেন শরীর নয়, বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণকেই ঘিরে ধরেছে।
এর পরের ওভারেই ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন তাইজুল। ৩৩ রান করে থামেন তিনি। সকালে আধা ঘণ্টা ব্যাটিং করতে পারে বাংলাদেশ, সেখানে রান উঠে ২৭ টা। আড়াশো থেকে তিন রান দূরে থাকতে কলম্বোতে থেমে যায় বাংলাদেশ দল।