শুধু মাঠের খেলায় নয় কথার লড়াইয়েও সব সময় এগিয়ে থাকতে চান বিরাট কোহলি। আর আধুনিক ক্রিকেটে স্লেজিং খেলার অন্যতম অংশ। কিন্তু শরীরী ভাষায় স্লেজিংকে মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াতেও জুড়ি নেই বিরাটের।
ব্যাট হাতে সিরিজটা মোটেও ভাল যায়নি বিরাটের। তৃতীয় ওয়ানডে ছাড়া তেমন রান পাননি পুরো সিরিজে। এদিকে ওয়ানডে সিরিজ হেরে এমনিতেই চাপে ছিল ভারত। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় ব্যাবধানে জিতে কিছুটা চাপ কমিয়েছে কোহলি, রাহুলরা। কিন্তু, বাংলাদেশ ছাড়ার আগে ঢাকা টেস্টটা সহজ ছিল না। যদিও, তিন উইকেটের জয়ে বাংলাদেশকে হোয়াইট ওয়াশ করতে পেরেছে লোকেশ রাহুলের দল।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২২৭ রানে অল আউট হবার পর ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে তুলতে পারে ৩১৪ রান। প্রথম দিন পড়ন্ত বিকেলে ভারত কোনো উইকেট না হারালেও দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই ভারতকে চাপে রাখে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত শেষ সেশনেরও একদম শেষ প্রান্তে এসে ৩১৪ রানে অল আউট হয় ভারত।
দিনের খেলা তখনো প্রায় ৩০ মিনিটের মত বাকি। এই ৩০ মিনিট পার করে দেয়াই তখন মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকির হাসানের। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত ব্যাটারদের চরম পরীক্ষা নেন বোলাররা।
বোলিং দলের হারাবার কিছু থাকে না। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের এক বা একাধিক উইকেট তুলে নিতে পারলে পরবর্তী দিনের খেলায় এগিয়ে থাকার সুযোগ থাকে বোলিং দলের। তাই যত সম্ভব কম ওভার মোকাবেলা করতে চান ব্যাটাররা।
টেস্ট ক্রিকেটে দিনের শেষ বেলায় ব্যাটারদের ইচ্ছাকৃত সময় নষ্ট করা তাই অনেকটাই নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু, এটা আবার চরম বিরক্তির কারণ হয় প্রতিপক্ষ দলের বোলার ফিল্ডারদের জন্য।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় সে কাজটিই করছিলেন বাংলাদেশের নবাগত ওপেনার জাকির হাসান। বাংলাদেশ ইনিংসের ষষ্ঠ ওভার চলার সময় হাতের গ্লাভস খুলে ঠিক করছিলেন জাকির। জাকিরের এই সময় নষ্ট করাকে ভালভাবে নেননি বিরাট কোহলি। স্টাম্প মাইকে ভেসে আসে জাকিরের উদ্দেশ্যে বিরাটের খোঁচা দেয়া কথা গুলো – ‘জাকির, তোর শার্টটাও খুলে ফেল এবার।’ এমনকি হাত দিয়ে জার্সি খোলার ইশারাও করেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক।
দিনের খেলা শেষ হবার আগে আরো একটি ওভার বল করতে চেয়েছিল ভারত। সেটি হবার সম্ভাবনা নষ্ট হওয়ায় চটেছিলেন বিরাট কোহলি। এরপর তৃতীয় দিনেও আউট হবার পর বাংলাদেশের উদযাপন মেনে নিতে না পারে ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন কোহলি। পরে মাঠের আম্পায়াররা ও সাকিব আল হাসান নিজে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
বিরাটের এমন আচরণ অবশ্য নতুন কিছু নয়। কথার লড়াইয়েও প্রতিপক্ষকে এক চুল ছাড় দিতে রাজি নন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। তবে স্লেজিং মাঝে মাঝে মাত্রা ছাড়িয়ে যাবার কারণে সমালোচনার শিকারও হন কোহলি।