‘বরিশাল ড্রাফটে কিছু ভুল করেছে’

এবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে তামিম ইকবাল বরিশাল ফরচুনের অধিনায়কত্ব করবেন। তিনি মনে করছেন, তার দল ভালো করতে পারবে। তবে দল গঠনে খেলোয়াড় কেনার সময় কিছু ভুল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

বরিশাল দল ও এই টুর্নামেন্টে প্রত্যাশা সম্পর্কে তামিম বলেছেন-

পিএসএলের অভিজ্ঞতা কতোটা কাজে লাগবে?

দুইটা দুই জায়গা, আলাদা খেলা। একটা ভালো জিনিস হয়েছে, ভালো দলগুলোর সঙ্গে তিনটা ম্যাচ খেলতে পারছি। আমাদের এখানে তো খেলা হচ্ছে না। এই জিনিসটা হেল্প করবে যে আমি খেলার মধ্যেই আছি। আশা করি এই টুর্নামেন্টটা ভালো হবে, খেলাটা ভালো হবে।  অনেকেই আছে অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে না। ওদের জন্য এটা ভালো হবে। ইতিবাচক দিক।

আপনার এই টুর্নামেন্টে লক্ষ্য কী?

দেখেন চেষ্টা তো থাকবে অবশ্যই ভালো খেলার। ব্যক্তিগতভাবে, টিম হিসেবেও। ক্রিকেটের জন্য অবশ্যই ভালো। আমরা লাকি ছিলাম যে প্রেসিডেন্টস কাপ খেলতে পেরেছি। এখানে হয়তো আরও বিশ ত্রিশজন ক্রিকেটার এই বছর প্রথম কম্পিটিটিভ ক্রিকেট খেলবে। এটা অবশ্যই ভালো দিক। আমি এটা আশা করবো যে টুর্নামেন্টটা ভালো হবে। কে জিতবে, হারবে এটা পরের বিষয়। ক্রিকেটটা ভালো হোক এটাই আশা করি।

পিএসেএলে তো ফাইনাল খেলে এলেন…

যেটা বললাম অবশ্যই তিনটা কম্পিটিটিভ ম্যাচ খেলা কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিপক্ষে অবশ্যই প্লাস পয়েন্ট। যেটা হলো আপনি তিনটা ম্যাচ খেলেন পাঁচটা ম্যাচ খেলেন নতুন টুর্নামেন্টে নতুন করে শুরু করতে হবে ভালো করে। অবশ্যই একটা এডভান্টেজ যে আমি খেলার ওপর আছি। হয়তো অন্যদের সেটা ছিল না। আমি আশা করি আমি ভালো শুরু করতে পারবো।

ওখানে প্রতিটা ম্যাচেই ভালো শুরু পেয়েছেন।

হ্যা। অবশ্যই তিনটা ম্যাচেই আমি যেভাবে শুরু করেছিলাম খুব ইতিবাচক ছিল। আমি যে প্ল্যান করে ব্যাটিং করছিলম, সফল ছিলাম, কিন্তু অল্প সময়ের জন্য। এটাই একটা নেগেটিভ পয়েন্ট যে আমার ওই স্টার্টের পর পঞ্চাশ-ষাট রান করা উচিত ছিল অন্তত। যেটা আমি পারিনি।

বরিশালের দল কেমন হয়েছে?

কোনো সন্দেহ নেই আমরা ড্রাফটে কিছু ভুল করেছি। এটাতে কোনো সন্দেহ নাই। আমরা অবশ্যই ড্রাফটে কিছু ভুল করেছি দেখেই এই কথাটা উঠছে। এটার সঙ্গে এটাও বুঝতে হবে। ক্রিকেট ইজ অ্যান আনসারটেইন গেইম এখন হয়তো । আমার দলে এমন কিছু প্লেয়ার আছে যাদের আমরা হয়তো কেউ কাউন্ট করছি না। কিন্তু তাদের সবারই দারুণ টুর্নামেন্ট কাটতে পারে। যেকোনো কিছু হতে পারে। আমি আশা করবো যে আপনি প্রেসিডেন্টস কাপে দেখেন।

যারা আলোচনার বাইরে আছেন, তারা কেমন করতে পারেন?

প্রেসিডেন্টস কাপে দুই তিন জন প্লেয়ারকে নিয়ে আমরা কেউই আশা করি নাই যে ওরা এত ভালো খেলবে। পরে কিন্তু তাদের নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল। আমি এটাই আশা করি ওই রকম লাইম লাইটে নাই, তারা ওই রকম পারফরম্যান্স করবে। যতটুকু দলকে দেয়া দরকার তার চেয়ে বেশি দিতে হবে। আমার যে স্কোয়াডটা আছে। আমাদের যদি সফল হইতে হয়, আউট অব দ্য বক্স ক্রিকেট খেলতে হবে। সবসময় যেমন পরিকল্পনা করে খেলি, সেভাবে জেতাটা কঠিন হবে । আমাদের যে রিসোর্স আছে। যদি আমরা একটু আউট অব দ্য বক্স চিন্তা। অন্য দলকে সারপ্রাইজ করতে পারি। তাহলে অবশ্যই সম্ভব। আমি আশা করি যে দুই তিনজকে নিয়ে আশা করছি না তারা যদি ভালো খেলতে পারে। অনেক কিছুই হতে পারে।

আপনার নিজের পারফরম্যান্স তো খুব গুরুত্বপূর্ন?

অবশ্যই আমার নিজের পারফরর্ম্যান্স তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারি । অধিনায়কত্বের ব্যাপারটা বাদ দেন। আমি যদি ব্যাটসম্যান হিসেবে রান করতে পারি তাদের অবশ্যই সেটা অনুপ্রেরণা দিবে। হয়তো বা আমার টুর্নামেন্টে  আলাদা আলাদা রোল প্লেল করতে হবে। কারণ আমি যেটা বললাম আপনার যদি রিসোর্স থাকে ওই রকম তাহলে আপনি অনেক রকম প্ল্যান করতে পারেন। যদি রিসোর্সটা কম থাকে তাহলে আপনার ওই রকমভাবে খেলতে হবে।

বরিশাল দলটার হয়ে খেলা কিভাবে দেখছেন?

এটা দারুণ যে বরিশাল আবার ফিরে এসেছে। দুই তিন বছর বিপিএলে তাদের অংশগ্রহন ছিল না। এটা সত্যি যে তাদের অনেক বড় ফ্যানবেজ আছে। এটাই আশা করবো ওরা আবার যেহেতু ফিরে এসেছে তাদের কিছু খুশির মুহূর্ত দেয়ার চেষ্টা করবো।

জয় দিয়েই শুরু করতে চান নিশ্চয়ই?

এটা আসলে সবসময়ই যেকোনো টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটা একটু ট্রিকি হয়। কারণ কী ধরণের উইকেট হবে বা কত পরিমান ডিউ হবে এটা সম্পর্কে একটা ধারণা হয়। এটা আসলে এক ম্যাচ খেলার পর ধারণা হয়।  আশা করি অতটা ইফেক্ট ফেলবে না আমাদের।  প্রথম ম্যাচ থেকে আমরা হয়তো বা আমরা না প্রত্যেকটা টিমই অনেক ধরণের তথ্য পেয়ে যায়। আশা করবো প্রথম ম্যাচটা আমাদের জন্য ভালো যাবে। যতটুকু তথ্য নেয়া যায় পরের ম্যাচগুলোতে দেয়া যাবে। হ্যাঁ ডিউ একটা ফ্যাক্টর হবে। সাতটা থেকে বোধ হয় ম্যাচ শুরু হবে খুব বড় যে সুবিধা থাকবে প্রথম বা দ্বিতীয় ইনিংসে তেমন না। প্রথম ম্যাচে হয়তো একটু সুবিধা থাকতে পারে।

অভিজ্ঞতার জন্য আপনিই কী দলের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবেন?

আমি অন্য কারো চেয়ে নিজেকে এগিয়ে রাখবো না। অবশ্যই না। আমি ভালো টাচে আছি এতটুকু বলতে পারি। আমি বড় কিছু রান করতে চেষ্টা করবো। এটা আমার করা উচিত। হয়তো আমরা ক্রিকেট খেলি নাই, কিন্তু শেষ চার পাঁচ মাস ধরে সবাই প্র্যাক্টিসে আছি। গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে টুর্নামেন্টটা শুরু করা।ওটাই হবে আত্মবিশ্বাসের জন্য মূল বিষয়। এটাই আশা করবো যে প্রথম ম্যাচটাতে এমন পারফরম্যান্স করার। প্রথম এক দুই ম্যাচে ভালো খেলে ক্যারি করার চেষ্টা করবো ।

তরুনদের নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?

ইরফান খুব ভালো একটা টুর্নামেন্ট কাটিয়েছে। তৌহিদ হৃদয়কে আমি টি-টোয়েন্টিতে দেখার অপেক্ষায় আছি। কিন্তু সে ভালো খেলোয়াড়। ওদের দায়িত্ব নিতে হবে আমার এমন একটা টিম যে সিনিয়র জুনিয়র নাই। আমার টিমে যদি সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে চিন্তা করেন, হয়তো আমিই একমাত্র অভিজ্ঞ। যদি আপনি সফল দল হতে চান, বিশেষত এই দল। আমি তেরো বছর খেলেছি অন্যরা দুই বছর খেলেছে এটা কোনো ম্যাটার না।

তাদের প্রতি কী পরামর্শ থাকবে?

তাদের করতে হবে। আমার টিমটা নিয়ে কথা বলছি। আমি শুরুতেই যেটা বললাম আউট অব দ্য বক্স চিন্তা করতে হবে। না হলে এটা আমাদের জন্য কঠিন হবে। তরুণ যারা আছে আফিফ, হৃদয়, ইরফান তাদের আউট অব স্কিল খেলতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link