‘সোশ্যাল মিডিয়ায় কি লেখা হবে তা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই’

বরাবরই, অন্য যেকোনো ফরম্যাটের চেয়ে ওয়ানডেতে শক্তিধর বাংলাদেশ। সেই দলের কাণ্ডারি এখন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার পরিবর্তে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। সেই চাপ সামলানোর কৌশলটা আয়ত্ত করতে চান তামিম।

তুলনামূলক ভাবে এটা অতিরিক্ত চাপ হবে কিনা  এমন প্রশ্নের জবাবে তামিম ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজকে বলেন, ‘কোন তুলনা হওয়া উচিত নয়। তবে এটি ঘঠতে বাধ্য। মাশরাফি ভাই যার জায়গাতে এসেছিলেন তার সাথেও এমন হয়েছিলো। মানুষ আমাকে কী জিজ্ঞাসা করবে, সাংবাদিকরা কি জিজ্ঞাসা করবে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কি লেখা হবে তা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। এটি নিয়ে কথা বলার কোনও অর্থ নেই। মানুষ যা পছন্দ করে সে সম্পর্কে কথা বলার এবং লেখার স্বাধীনতা রয়েছে তবে আমি দলের সম্পর্কে যা ভাবছি তা করতে হবে এবং আমি কোথায় আছি তা দেখতে হবে।’

করোনা ভাইরাসের কারণে শেষ বছর স্থগিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের সিংহভাগ খেলা। চলতি বছরেও ব্যাস্ত সূচি তামিম-মুশফিকদের। কিন্তু গত বছর স্থগিত হওয়া ম্যাচ গুলো নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তামিম। চলতি বছর জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করে ক্রিকেট মাঠে ফিরলেও ওয়ানডে অধিনায়ক মনে করছেন, জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকাও সহজ নয়।

তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে আমাদের প্রচুর টেস্ট খেলার কথা ছিলো। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক ভাবে করোনার কারণে খেলতে পারিনি। যা আমাদের ক্রিকেটের জন্য ক্ষতি হয়েছে। দল হিসেবে আমরা খুব আশাবাদী ছিলাম যে বছরটি আমাদের জন্য দুর্দান্ত হবে। গত বছরের মতো ব্যস্ত সূচি আমাদের কখনো ছিল না। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে করোনা আসলো।

চলতি বছরের শুরুর দিকে আসা করোনার প্রকোপ এখনো রয়েছে। করোনার ভিতরই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলেছে বাংলাদেশ। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও ক্রিকেটারদের থাকতে হবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। দীর্ঘদিন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলাটা সহজ না বলে মনে করেন তামিম। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পারফর্ম না করলে জৈব সুরক্ষা বলয় ক্রমান্বয়ে আরও কঠিন হয়ে ওঠে।

এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘এটা বিরক্তিকর কিনা তা নিশ্চিত নই তবে এটি অবশ্যই আমাদের মানসিকভাবে প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ আপনি যখন পারফর্ম করছেন না তখন এটি সুরক্ষা বলয়ে আরও কঠিন হয়ে ওঠে। কারণ সাধারণত আপনি যখন মাঠে ভালো সময় কাটাচ্ছেন না, তখন হোটেলে ফিরে আসার পরে খেলোয়াড়টি সাধারণত তাদের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বের হয়। এটি একজনকে খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করে। তবে এখন হঠাৎ করে আপনি যখন পারফর্ম করছেন না তখন আপনি ঘরে ফিরে এসে এ নিয়ে ভাবতে থাকেন, এ ছাড়া আপনার করার মতো অন্য কোনও কিছু নেই। এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।’

গত কয়েকটা সিরিজ ধরেই জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভিতর ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। দীর্ঘ দিন বায়ো বাবলে থাকার ধকল ও করোনার ভয়ে এই সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, সহ-অধিনায়ক রোস্টন চেজ, শাই হোপ, কাইরন পোলার্ড, শামার ব্রুকস, শেলডন কটরেল, এভিন লুইস, শিমরন হেটমায়ার, নিকোলস পুরান, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও শেন ডওরিচ।

তামিমও মনে করেন, দীর্ঘ সময় জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা মানসিক ভাবে প্রভাব ফেলে। তিনি বলেন, ‘যখন আপনি জানেন যে আপনাকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না তখন এটি সত্যিই কঠিন হয়ে যায়। আপনার চলাচলে সীমাবদ্ধ থাকলে অবশ্যই মানসিকভাবে প্রভাব ফেলে। এটি নতুন একটি জিনিস যা আমাদের অতিক্রম করতে হবে এবং অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সম্ভবত সুরক্ষা বলয়ে আরও অনেক সময় পার করতে হবে। আসুন দেখুন কিভাবে এটি চলে তবে আমি নিশ্চিত এটি সহজ হবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link