বেশ ভরসা রয়েছে তানজিদ হাসান তামিমের উপর। ঠিক সে কারণেই হয়ত তিনি সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন ক্রমাগত। আবার হয়ত বিকল্পের খুব অভাব তাই তামিমের বদলে তামিম। এমন ধারণা ঘুরে বেড়ায় সর্বত্র। অবশ্য এমন ধারণার পালে হাওয়া যে খোদ তামিম নিজেই দিচ্ছেন।
বড্ড বেশি মধ্যবিত্ত ঘরোনার ব্যাটার তিনি। ব্যাট থেকে রান আসে, কিন্তু সেই রান বড় হয় না। আগ্রাসন দেখানোর চেষ্টা চালান, কিন্তু সেই আগ্রাসনও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। ডট সাগরের অতলে হারিয়ে যান তিনি। ব্যতিক্রম ঘটেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেও।
সেইন্ট কিটসে ৮ ওয়ানডে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩০০ ছাড়ানো সংগ্রহ রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশও একবার ৩০১ রানের সংগ্রহ গড়েছিল। বোঝাই যাচ্ছে বেশ ব্যাটিং সহায়ক একটা উইকেট। সেই উইকেট দাঁড়িয়ে তামিম খেলে গেলেন ৬০ বলে ৬০ রানের একটি ইনিংস।
তিন ছক্কা, ছয় চারের ইনিংসটি দেখে নিশ্চয়ই পুলকিত হতে চাইবেন অনেকেই। মোটামুটি রানই যে আমাদের ওপেনারদের ব্যাটে রীতিমত অমাবস্যার চাঁদ। তাইতো তামিমের ইনিংসটিকেও যথার্থই মনে হয়। কিন্তু এই ১০০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটিতে রয়েছে দারুণ শুভঙ্করের ফাঁকি।
আউট হওয়া বলটা সহ নিজের খেলা ৩৪টি বলে কোন রানই নিতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিম। ৬০ রান করেছেন তিনি ২৬ বলে। অর্থাৎ নিজের ইনিংসের প্রায় ৫৭ শতাংশ বলে কোন রান আসেনি তামিমের ব্যাট থেকে। এই দূর্বলতাই তানজিদ তামিমকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
তিনি অত্যাধিক ডট খেলে অযথাই নিজের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন। আর সেই চাপ কমাতে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হচ্ছেন। প্রায় প্রতিটা ইনিংসের গল্পই এক। ঠিক সে কারণেই ১৭ ওয়ানডে ইনিংসের মধ্যে ১২ ইনিংসেই তিনি আউট হয়েছেন প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই।
এই ধারা থেকে যতদিন অবধি তানজিদ হাসান তামিম বেড়িয়ে আসতে না পারছেন, ততদিন অবধি এমন মাঝারি মানের ইনিংসেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে তাকে। এমনকি বিকল্প গড়তে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ দলও তাকেই খেলিয়ে যাবে। শিশুপার্কের ঘোড়ার চড়ার আনন্দ।