ফিটনেসর বালাই নেই। টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই, ওয়ানডে ফরম্যাটেও তিনি চলনসই নন – এমন বলে দেওয়ার লোকের অভাব নেই। কিন্তু, নিজের দিনে আজও যে তামিম ইকবাল খান দেশসেরা ওপেনার সে প্রমাণই পাওয়া গেল আরও একটিবার।
এনএসিল টি-টোয়েন্টির প্রথম দিন বেশ অসহায়ভাবে আউট হয়েছিলেন তামিম। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ালেন। যে ‘ক্লাস’ তাকে বানিয়েছিল দেশসেরা ওপেনার, সেই ক্লাসের ঝলক দেখালেন সিলেট আউটার স্টেডিয়ামে।
সিলেটে কুয়াশার চাদর ছেয়ে যায় সন্ধ্যের পরই। সকাল দশটার একটু আগে কেটে যায় সেই ধূসরতা। তাইতো আউটার স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হতে হয়েছে বিলম্ব। তবে তামিম সমালোচনার জবাব দিতে বিলম্ব করেননি। সিলেট বিভাগের বিপক্ষে তুলে নিয়েছেন অসাধারণ অর্ধশত।
নিজের সেই বাজে আউটটা হয়ত বেশ পীড়া দিয়েছে তাকে। আর তাইতো ব্যথার ঔষধ হিসেবে ফ্রি ফ্লোয়িং ব্যাটিংটা করলেন। বয়স হয়েছে, শরীরের গঢ়নে নেতিবাচক পরিবর্তনও এসেছে। কিন্তু ব্যাটের ধার খানিকটা রয়ে গেছে বাকি।
সামনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এর আগে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে তামিম নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেন। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহারই করছেন বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটার। যদিও সিলেটের আউটার স্টেডিয়ামের উইকেট যথেষ্ট স্পোর্টিং। বোলারদের বেশ ধকল পোহাতে হয় এক একটি উইকেটের জন্যে।
তাছাড়া রান আটকে রাখতেও করতে হচ্ছে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং। এমন কন্ডিশনের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্যে আদর্শ। তামিম সে প্রচেষ্টায় এদফা সফল। নিজের খেলা ২৭ তম বলে চার হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন তামিম।
প্রায় ২০০ স্ট্রাইকরেটের দূর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। ৬৫ রানের ইনিংসটি নিশ্চয়ই তামিমের আত্মবিশ্বাস ফেরাবে। যার প্রতিফলন দেখা যাবে বিপিএলে। ধারাবাহিক হতে পারলেই জাতীয় দলের জার্সি আবার গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামবেন খান সাহেব।