স্ট্রাইক রেট আজকাল খুব বিরাট ব্যাপার। মানুন আর নাই মানুন – ওয়ানডে ক্রিকেটে স্ট্রাইক রেটকে কোনো ভাবেই এড়িয়ে খেলা যাবে না। বিশেষ করে টপ অর্ডারে। আর স্ট্রাইক রেট ১০০-এর ওপরে কিংবা অন্তত ১০০ রাখা ওপেনারদের জন্য বাধ্যতামূলক।
এই সংকটে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন তামিম ইকবাল। তাঁর রঙিন পোশাকের ক্যারিয়ার এক অর্থে শেষই করে দিয়েছে এই স্ট্রাইক রেট। এবার সেই পথেই হাঁটছেন নারী দলের ওপেনার ফারজানা হক পিংকি।
অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলে রেখেছিলেন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শুধু জিতলেই চলবে না। প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের সব বোলার, কম বেশি সব ব্যাটাররাই কাজটা করতে পেরেছেন ওয়ানডে সিরিজে – ব্যতিক্রম কেবল একজন – ফারজানা হক।
তাঁর নিন্দুকও বলবে না যে, তিনি রান পাচ্ছেন না। রান তিনি যথেষ্ট করেছেন। তিন ম্যাচেই নামের পাশেই হাফ সেঞ্চুরি শোভা পেয়েছে। কিন্তু, ব্যাটিং করেছেন ৫৫ থেকে ৬০ স্ট্রাইক রেটে।
আয়ারল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষে এটা কোনো সংকট নয়। তবে, বড় দলগুলোর বিপক্ষে এরকম খেললে – সেটা ম্যাচ হারের কারণ হতে পারে।
আসলে, ফারজানা সব সময়ই এমন সংকটে ভুগেন। পুরো ওয়ানডে ক্যারিয়ার জুড়েই ফারজানা ব্যাটিং করে গেছে ৫০-এর আশেপাশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে।
অথচ, বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে যে দু’টো সেঞ্চুরি পেয়েছে, দু’টোই এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। ফারজানা ২০২৩-এর জুলাইয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করেন ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে।
১০৭ রানের ইনিংস খেলেন ১৬০ বলে। ফলাফল, তিন বল বাকি থাকতে জিতে যায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে, দ্বিতীয় সেঞ্চুরির ফলাফলও একই। সেই বছর ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ১৬৭ বল খেলে ১০২ রান করেন ফারজানা। প্রোটিয়া মেয়েরা চার ওভার পাঁচ বল বাকি থাকতে জিতে যায়।
মানে, বারবার ফারজানার ইনিংস বাংলাদেশের বিপদের কারণ হচ্ছে। ঠিক তাঁর সাথেই ব্যাট করে শারমিন আক্তার সুপ্তা ৮০ থেকে ১০৭-৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছেন নিয়মিত। মানে, উইকেটও কোনো সমস্যা না। তাহলে ফারজানা কেন পারছেন না? নারী ক্রিকেটকে পরের ধাপে নিতে এখন এই স্ট্রাইক রেটের সংকট কাটিয়ে তোলা খুবই জরুরী।