গত ১৩ আগস্ট থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এশিয়া কাপ প্রস্তুতি। চলবে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত। মাঝে অবশ্য কয়েক দিনের বিশ্রাম পাবেন ক্রিকেটাররা।
তবে অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের ট্রেনিং সেশন চলছে কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে। যার নেপথ্যে রয়েছেন প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। তিনি মূলত এ ক্যাম্পের জন্য তিনটি স্লট ভাগ করে দিয়েছেন। স্কিল ট্রেনিং, টিম ফোকাস আর ফিটনেস নিয়ে বেশি কাজ করা হবে এ বারের ক্যাম্পে।
যেখানে দিনভেদে সময়সীমাও নির্ধারণ করে দিয়েছেন হাতুরুসিংহে। ১৩ ও ১৪ আগস্ট, এই দুই দিনে ক্যাম্প চলবে ৬ ঘন্টা। এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে ১৬ ও ১৭ আগস্ট ক্রিকেটারদের জন্য একই রুটিন থাকলেও সময়টা কমে হবে ৪ ঘন্টা। ২০ আগস্ট থেকে ট্রেনিং সেশন হবে ৩ ঘন্টা। এরপর ২৫ আগস্ট শেষ হবে এশিয়া কাপকে সামনে রেখে বিশেষ এ ক্যাম্প।
অন্যান্য বারের চেয়ে ভিন্নভাবে এবারের ক্যাম্প নিয়ে অবশ্য নিজস্ব মতামতও দিয়েছেন কোচ হাতুরুসিংহে। লঙ্কান এ কোচ জানিয়েছেন, ‘যেকোনো সিরিজকে সামনে রেখে যখন আমরা ট্রেনিং সেশন করি, তখন কিছুটা ব্যাটিং বেশি করি, বোলিং করি, আবার ফিটনেস নিয়েও খুব সচেতন থাকি। কিন্তু একটা সময় পর দেখা যায়, দিন গড়ালে খেলোয়াড়দের মধ্যে তাড়নাটা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটাকে ট্যাপারিং বলে। এবার আমরা দীর্ঘ কোনো সেশন রাখিনি। যাতে করে ছেলেদের মধ্যে ঐ ক্লান্তিটা না আসে। বড় টুর্নামেন্টের আগে সতেজ থাকাটা জরুরি। আমরা চাই, খেলোয়াড়রা তাদের সেরাটা মাঠে দিক। এ জন্য এবারে লম্বা কোনো সেশন রাখা হয়নি।’
ট্রেনিং সেশনের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের জন্য একজন মনোবিদ রাখাও জরুরি বলে মনে করেন হাতুরুসিংহে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে লঙ্কান এ কোচ তাঁর প্রথম মেয়াদে অস্ট্রেলিয়ান ক্রীড়া মনোবিদ ডক্টর ফিল জন্সির সাথে কাজ করেছিলেন।
এরপর এ বছরের জুনে ক্রিকেটারদের মানসিক ভাবে সতেজ রাখতে ঢাকায় এসেছিলেন আরেক মনোবিদ অ্যালান ব্রাউন। বিচ্ছিন্ন কিছু সময়ে ক্রিকেটারদের জন্য বিসিবি এমন সেশনের আয়োজন করে থাকে।তবে হাতুরু মনে করেন, আধুনিক ক্রিকেটে এখন যে কোনো দলের সাথেই একজন মনোবিদ থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘দলের কেউ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। অনেক সময় সেটা আড়ালেই থেকে যায়। মানসিক সমস্যা অবহেলার কোনো বিষয় না। এখন বড় বড় দল গুলো সবাই স্থায়ীভাবে মনোবিদ নিয়োগ দিচ্ছে। বাংলাদেশেরও উচিৎ সেই পন্থার এগোনো।’
এশিয়া কাপকে সামনে রেখে ৩২ জনকে নিয়ে বিশেষ এ ক্যাম্প শুরু হলেও, গত ১২ আগস্ট তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ তে। এই ১৭ জনকে নিয়েই শ্রীলঙ্কাগামী বিমান ধরবে বাংলাদেশ। আগামী ৩১ আগস্ট পাল্লেকেল্লেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের এশিয়া কাপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ।