তাসকিন আহমেদ যেন ‘লাকিচার্ম’। তিন ম্যাচ ধরে ডাগআউটে বসেই কেটেছে তার সময়। আর সেই তিন ম্যাচেই পরাজয় হয়েছে শারজাহ ওয়ারিয়ার্সের সঙ্গী। কিন্তু যেই মুহূর্তে তাসকিন এলেন একাদশে, ঠিক তখনই যেন শারজাহয়ের বন্ধ ভাগ্যের দুয়ার খুলে গেল গতির ঝড়ে। দিনশেষে হয়ত তাসকিনের বোলিং ফিগার পুরো গল্পটা বলবে না, তবুও শারজাহয়ের ছয় রানের জয়ের তাসকিনের অবদান একেবারে নগন্য নয়।
সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান- বাংলাদেশের এই দুই খেলোয়াড়ের আইএল টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়ে গেলেও, তাসকিন ছিলেন অপেক্ষমান। অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষে, তাসকিন সুযোগ পেলেন। তিন ম্যাচ হেরে শারজাহ ছিল টেবিলের তলানিতে। বাউন্স ব্যাক তাদের করতেই হতো।
এমন ম্যাচে ব্যাটারদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে, ১৭৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে সক্ষম হয় শারজাহ ওয়ারিয়ার্স। মোটামুটি মাঝারি মানের লক্ষ্য ডিফেন্ড করবার গুরুদায়িত্ব এসে পড়ে তাসকিনদের কাঁধে। তবে শুরুটা তাসকিনের মোটেও ভাল কাটেনি। নতুন বল হাতে, নিজের প্রথম স্পেলের দুই ওভারে, তাসকিনের খরচ ২০ রান।

শেষ অবধি চার ওভারের ৩৯ রান খরচায়, তাসকিন থেকেছেন উইকেটশূন্য। কিন্তু তার করা তৃতীয় ওভারটা যেন শারজাহয়ের জয়ের অন্যতম চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়াল। নিজের দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভার তাসকিন করতে এলেন ইনিংসের ১৬ তম ওভারে। তখন এমআই এমিরেটসের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে ৭৩ রান।
নিকোলাস পুরানের মত ম্যাচ উইনার তখনও দাঁড়িয়ে বাইশ গজে। তার বিরুদ্ধে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং না করলেই সাজা ভোগ করতে হবে। তাসকিন তাই তৃতীয় ওভারে খুব বেশি ভুল করলেন না। সেই ওভারে দিলেন মোটে ৮টি রান। প্রায় ১৪.৫০ আস্কিং রেটের বিপরীতে এমন ওভার জয়ের রাস্তা আরও প্রসস্থ করে দেয়।
শেষ অবধি নিকোলাস পুরান জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রায়। তাসকিন তার তৃতীয় ওভারে অন্তত আরও একটি বাউন্ডারি হজম করে ফেললেন, নাটকের শেষ প্রান্তে বিষন্নতাই সঙ্গী হত শারজাহ ওয়ারিয়ার্সের।












