ছন্নাছাড়া তাসকিন পেয়েছেন সঠিক দিশা

প্রথম ম্যাচে দলের জয়ে দারুণ অবদান রেখেছিলেন তাসকিন আহমেদ, নিয়েছিলেন তিন উইকেট। পরের ম্যাচে জেতাতে না পারলেও দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে তাঁর পারফরম্যান্সে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছিলো না সমর্থকেরা। কিন্তু সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সেই অতৃপ্তিও মেটালেন এই পেসার।

এদিন দশ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪২ রান খরচ করেছেন তিনি, সেই সাথে ঝুলিতে পুরেছেন তিন উইকেট। ইনফর্ম পাথুম নিশাঙ্কা তাঁর হাতেই আটকা পড়েছিলেন; আরেক ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দোও তাঁকে বুঝে উঠতে পারেননি। বলাই যায়, ইনিংসের শুরুতেই লঙ্কানদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়ার পুরো কৃতিত্ব এই ডানহাতির।

ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই তাঁর লাইন লেন্থ নিয়ে ছিল একগাদা অভিযোগ। নিয়মিত উইকেট পেলেও আগের মত ভয়ানক রূপে দেখা যায়নি তাঁকে। প্রায় প্রতি ওভারেই একটি, দুইটি বাজে ডেলিভারি করে ফেলতেন তিনি। এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দৃশ্যটাও ছিল অনেকটা একইরকম।

তবে সেসব পিছনে ফেলে ‘ঢাকা এক্সপ্রেস’ জ্বলে উঠেছেন নিজের শক্তিতে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই নিজের সেরাটা দিয়েছেন তিনি। নতুন বল হাতে লম্বা একটা সময় ম্লান থাকার পর এদিন ঝলক দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।

আউটসুইং, ইনসুইংয়ে ব্যাটারদের বোকা বানানোটাই ছিল তাঁর বোলিংয়ের সারমর্ম। সিম মুভমেন্ট কাজে লাগিয়েই দুই ওপেনারকে ফিরিয়েছিলেন এই তারকা; শেষদিকে আবার প্রমোদ মাদুসানের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।

প্রথম স্পেলে পাঁচ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রান দিয়েছেন তিনি। মাঝে আবার দুই ওভার করেছেন, মাত্র তিন রান খরচ করেছেন এসময়। ডেথ ওভারেও ধরে রেখেছেন নিয়ন্ত্রণ, শ্রীলঙ্কার রানের গতি খুব একটা বাড়তে দেননি। সবমিলিয়ে পরিপূর্ণ একটা বোলিং পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে তাঁর কাছ থেকে।

চলতি সিরিজে তানজিম হাসান সাকিব চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন; উইকেট তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। দায়িত্বটা তাই বেশি ছিল তাসকিন আহমেদের কাঁধে, সেই দায়িত্ব দুর্দান্তভাবেই পালন করলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link