উইকেট পেলেও মন ভরাতে পারছেন না তাসকিন

১০ ওভার, এক মেইডেন, ৬০ রান আর তিন উইকেট – শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তাসকিন আহমেদের বোলিং ফিগার। আহামরি ভাল বলা না গেলেও খারাপ বলার সুযোগ নেই। ৪০ ওভারে আগে ২০০ রানের গন্ডি পেরিয়ে যাওয়া লঙ্কানরা নাগালের মধ্যেই থেমেছে, সেটার পিছনে বড় অবদান তাঁরই। এর আগে কুশল মেন্ডিসের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেটও নিজের ঝুলিতে পুরেছিলেন তিনি।

সবমিলিয়ে সন্তোষজনক দিন পার করেছেন এই পেসার, তবে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হলে ভুল করবেন। তাঁর পারফরম্যান্সের সাথে প্রত্যাশার ফারাক এখনো অনেক বেশি। আগের মত নিখুত লাইন লেন্থে বল করতে দেখা যায় না তাঁকে; বলতে গেলে, ২০২২ সালের তুলনায় তিনি এখন নির্বিষ বোলিং করছেন।

লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যাবে ব্যাপারটি। নিজের প্রথম ওভারেই বারো রান হজম করেছিলেন এই ডানহাতি, এরপরের ওভারে কোন রান না দিলেও তৃতীয় ওভারে আবার দিয়েছেন নয় রান। অর্থাৎ নতুন বল হাতে যেখানে ব্যাটারদের চাপে ফেলার কথা সেখানে দু’হাতে রান বিলিয়েছেন।

পরের সময়টাতেও রেহাই মেলেনি, সব মিলিয়ে নিজের প্রথম পাঁচ ওভারে ৩৫ রান খরচ করেছেন ঢাকা এক্সপ্রেস। তাঁর বিরুদ্ধে অনায়াসে শট খেলেছেন সফরকারী ব্যাটাররা। শেষ দিকে ছন্দে ফিরতে না পারলে বাজে ফিগার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হতো তাঁকে।

এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচে ভাল করতে পারেননি এই তারকা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে চল্লিশ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন এক উইকেট, পরের ম্যাচে দুই রান কম দিয়ে সমান সংখ্যক উইকেট পেয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে একটা বিষয় তাই স্পষ্ট, তাঁর বোলিংয়ে ধারাবাহিকতার ঘাটতি রয়েছে।

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদের ডেলিভারিগুলো এখনো শিহরিত করে সমর্থকদের। সেদিন উইকেট না পেলেও বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন সেটা দূরের অতীত হয়ে গিয়েছে, উইকেট পেলেও আগের মত বিধ্বংসী হতে পারছেন না। তবু তাঁর উপর আশা করা যায়, হয়তো শীঘ্রই সেরা রূপে দেখা যাবে তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link