ভারতের সাথের প্রতিদ্বন্দিতায় টেকা বড় দায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে দু’টো ম্যাচই যেন পরিষ্কার করে দিয়েছে সমস্ত পার্থক্য। তাদের এক সময়কার প্রতিদ্বন্দিও রীতিমত পাত্তাই পাচ্ছে না ভারতের সামনে। ১৭২ রানের লড়াকু লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়ার পর আটকে রাখা দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারতকে ঠেকানো।
ভারত দলে পারফরমারের অভাব নেই। টপ টু বটম যেকোন ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। এমনকি স্কিলসেট ও মানসিক দৃঢ়তাও যোজন যোজন এগিয়ে রয়েছে বর্তমান দল। কাগজে-কলমে এশিয়ার কোন দলের যেন নূন্যতম লড়াই করবারও শক্তিও ভীষণ মামুলি ভারতের সামনে।
এই যেমন অভিষেক শর্মার কথাই ধরা যাক। এশিয়া কাপের চার ম্যাচের মধ্যে তিন ম্যাচেই তিনি বাউন্ডারিতে শুরু করেছেন তার ইনিংস। সুপার ফোরে তিনি ব্যাটিং ইনিংসের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ছক্কা হাঁকিয়ে। তার বিরুদ্ধে যেন কোন পরিকল্পনাই ছিল না পাকিস্তানি বোলারদের। তুখোড় ব্যাটার অভিষেক, একাই গড়ে দেন ম্যাচের শক্ত ভীত।

এরপর শুভমান গিল ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের বুকে রীতিমত ব্যাট হাতে শাসন চালিয়েছেন। এরপর টি-টোয়েন্টি সেটআপে বহুদিন বাদে ফিরেও একেবারে নিঃসংকোচে চালাচ্ছেন তার ব্যাট। সুরিয়াকুমার যাদব তো ভারতের নিজস্ব মিস্টার থ্রিসিক্সটি ডিগ্রি। এরপর তিলক ভার্মার আগ্রাসন।
চাপের মুখে হার্দিক পান্ডিয়ার নির্বিকার অঙ্গভঙ্গি যেকোন দলের জন্যে ভয়ের কারণ। বোলিংয়ে দারুণ বৈচিত্র্য, জাসপ্রিত বুমরাহের বাজে দিনেও বাকিরা উজ্জ্বল। প্রতিপক্ষকে কখনোই ম্যাচের পূর্ণ লাগাম হাতে তুলে দেন না। এমন একটা দলের বিপক্ষে আর যাই হোক লড়াই জমে না। পাকিস্তান জমাতে পারেনি।
এবারের এশিয়া কাপে নূন্যতম প্রতিরোধ গড়তে পারেনি সালমান আলি আঘার দল। কি অবলীলায় ভারত পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টাও অর্থহীন হয়ে যায়। তাইতো মনে জাগে প্রশ্ন- তবে কি এশিয়ার বাইরের দলকেই জানাতে হবে আমন্ত্রণ?

বর্তমান ভারত দলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার এই একটা উপায়ই হয়ত বাকি রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড কিংবা নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলগুলোকে এশিয়া কাপে আমন্ত্রণ জানানো ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ খোলা নেই। ভারত রাখেনি। এবারের এশিয়া কাপে মূলত খোঁজা হচ্ছে, কে হবে রানার্সআপ? এই অসম লড়াইয়ে চলমান থাকলে আগ্রহ হারিয়ে নিঃশেষ হতে- সময় আর বাকি নেই খুব একটা।











