আইসিসি ক্রিকেটার অব দ্য ইয়্যার ক্রিকেটারদের জন্য সবচেয়ে সম্মানজনক পুরষ্কার।
বিশ্বের সব নামী দামী ক্রিকেটাররা ভাগ বসিয়েছেন এই পুরস্কারে। ধারাবাহিক ভাবে এক ক্রিকেট মৌসুমে বিশ্বের সেরা পারফর্মারকে এই পুরষ্কার দেয় আইসিসি। তিন ফরম্যাটে আলাদা তিন জনকে ক্রিকেটার অব দ্য ইয়্যার ঘোষণা করা হয়। ২০০৪ সালে প্রথম এই পুরষকার পান রাহুল দ্রাবিড়। এরপর আরো অনেক গ্রেট ক্রিকেটাররাও এই পুরস্কার পান। আইসিসির ক্রিকেটার অব দ্য ইয়্যার খেতাব জেতা ক্রিকেটারদের নিয়েই এই একাদশ।
- শচীন টেন্ডুলকার (ভারত)
ওপেনার হিসেবে একমাত্র শচীন টেন্ডুলকারই আইসিসির এই খেতাব পেয়েছিলেন। ২০১০ সালে অসাধারণ পারফর্মেন্সের কারণে এই পুরষ্কার পেয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের আগের সময়টাতে ওয়ানডে ও টেস্ট দুই ফরম্যাটেই প্রচুর রান করছিলেন এই ব্যাটসম্যান। ফলে ওই বছর আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরষ্কার পান তিনি। তিনিই আমাদের একাদশের ওপেনার।
- রাহুল দ্রাবিড় (ভারত)
শচীন টেন্ডুলকারের সাথে ওপেনার হিসেবে আছেন ভারতীয় আরেক ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়। আইসিসির প্রথম বর্ষসেরা পুরষ্কারটি পেয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ২০০৪ সালে প্রথমবার আইসিসি যখন এই পুরষ্কার দেয়া শুরু করে সেবছরই টেস্ট ক্রিকেটে অসাধারণ পারফর্ম করছিলেন এই ব্যাটসম্যান। সেবছর ১২ টেস্টে ৬৩.৪৩ গড়ে করেছিলেন ৯৪৬ রান। এরমধ্যে একটি ডাবল সেঞ্চুরিও ছিল।
- রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া): অধিনায়ক
অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটসম্যান আইসিসি বর্ষসেরা পুরষ্কার জিতেছিলেন পরপর দুইবার। ২০০৬ ও ২০০৭ সালে এই কীর্তি করেন তিনি। সেই সমইয়ে ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারের সেরা সময় পাড় করছিলেন তিনি। দুই বছরই টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে রানের ফুলঝুড়ি ফুটিয়েছিলেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রায় ৬০ গড়ে ২ হাজারের বেশি রান করেছিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটেও ২০০৬ সালে ৮৮.৮৬ গড়ে করেছিলেন ১৩৩৩ রান।
- কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা): উইকেটরক্ষক
আমাদের একাদশের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শ্রীলঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা। ২০১২ সালে এই পুরস্কার পান তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে সেবছর ৪৩.৮৫ গড়ে করেছিলেন ১১৮৪ রান। টেস্ট ক্রিকেটেও একইরকম সফল ছিলেন তিনি।
- বিরাট কোহলি (ভারত): সহ-অধিনায়ক
ভারতের ক্রিকেটের আরেক ব্যাটিং তারকা বিরাট কোহলি। কোহলিও বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছেন দু’বার। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এ কীর্তি গড়েন তিনি। ২০১৮ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে কোহলির ব্যাটিং গড় ছিল ১৩৩.৫৫। ১৪ ওয়ানডে ম্যাচে সেবছর করেছিলেন ১২০২ রান।
- মাইকেল ক্লার্ক (অস্ট্রেলিয়া)
২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান এই ক্রিকেটার বর্ষসেরার পুরস্কার পান। টেস্ট ও ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই অসাধারণ খেলছিলেন সেই সময়। অস্ট্রেলিয়ার সোনালি সময়ে আসা এই ক্রিকেটার জায়গা করে নিয়েছেন এই একাদশেও।
- জ্যাক ক্যালিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন দক্ষিন আফ্রিকার এই ক্রিকেটার। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার আইসিসির বর্ষসেরা পুরষ্কার জেতেন ২০০৫ সালে। অলরাউন্ড পারফর্মেন্স করে এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। লোয়ার মিডল অর্ডারের হাল ধরতে আছেন আমাদের একাদশেও।
- বেন স্টোকস (বেন স্টোকস)
সর্বশেষ এই পুরষ্কার পেয়েছন ইংল্যান্ডের আরেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ২০১৯ সালে অসাধারণ অলরাউন্ডিং পারফর্মেন্স করে এই তালিকায় জায়গা পান তিনি। তিনিও শেষ দিকে ঝড়ো কিছু রান এনে দিতে আছেন আমাদের স্কোয়াডে।
- অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (ইংল্যান্ড)
২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের সাথে যৌথভাবে এই পুরষ্কার পেয়েছিলেন এন্ডু ফ্লিনটন। মিডল অর্ডারে রান এনে দেয়ার পাশাপাশি বল হাতেও বেশ কার্যকরি ছিলেন এই পেসার। টেস্ট ক্রিকেটে ৩৮৪৫ রানের পাশাপাশি আছে ২২৬ উইকেট।
- রবিচন্দন অশ্বিন (ভারত)
এই মুহুর্তে ভারতের সেরা স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে অসাধারণ পারফর্মেন্স করে চলেছেন এই বোলার। তিনি আইসিসি বর্ষসেরা পুরষ্কার জিতেছিলেন ২০১৬ সালে। টেস্টে ক্রিকেটে তাঁর ঝুলিতে আছে ৪০০ এর বেশি উইকেট। আমাদের একাদশেরও স্পিন বিভাগও সামলাবেন এই বোলার।
- মিশেল জনসন (অস্ট্রেলিয়া)
অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার বর্ষসেরা পুরষ্কার পেয়েছিলেন ২০১৪ সালে। বাঁহাতি এই পেসার টেস্ট ক্রিকেটে নিয়েছেন ৩১৩ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে ৫ উইকেট নিয়েছেন মোট ১২ বার। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটেও তাঁর ঝুলিতে আছে ২৩৯ উইকেট। তাই এই একাদশের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন এই পেসার।