তামিম ইকবাল জাতীয় দলে ফিরবেন, কিংবা হয়তো ফিরবেন না। তবে, ক্রিকেটে তাঁর ফিরে আসাটা বের জোরে সোরেই হচ্ছে। এনসিএল টি-টোয়েন্টির আসরে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি।
তামিম ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের কেউই অবশ্য খুব বেশি দায়িত্ব নেয়নি। তাই, দিন শেষে চট্টগ্রামের স্কোর ২০০ ছুঁতে পারেনি। এক তামিমই ছিলেন সম্বল।
এবার অবশ্য হাফ সেঞ্চুরিটাকে চাইলে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করতে পারতেন। মাইলফলক থেকে নয় রান দূরে থাকতেই থেমে যেতে হয় তাঁকে। এর আগে অবশ্য সিলেটের মাঠে আসা গুটিকয়েক দর্শককে যথাসাধ্য বিনোদন দিয়েই চলেছেন তিনি।
ক্লাসিক তামিম ইকবালীয় ইনিংস। শুরুটা করেছেন রয়েসয়ে। স্ট্রাইক রেট ১০০-ও ছুঁইছিল না। তবে, ক্রিজে সময় গড়ানোর সাথে সাথে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার। ছন্দে আসার সাথে সাথেই স্ট্রোকের পসরা সাজিয়ে বসেন তিনি।
পাল্লা দিয়ে হাঁকিয়েছেন চার আর ছক্কা। ছয়টি ওভার বাউন্ডারি আর সাতটি বাউন্ডারি – তামিম দৌড়ে নয় বরং চার-ছক্কাতেই নিজের ইনিংস সাজাতে বেশি পছন্দ করেন। শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে গড়া তামিমের এই ইনিংসটি প্রায় ১৭০ স্ট্রাইক রেট ছুঁয়ে তবেই থেমেছে।
ফিটনেসের বালাই নেই। টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই, ওয়ানডে ফরম্যাটেও তিনি চলনসই নন – এমন বলে দেওয়ার লোকের অভাব নেই। কিন্তু, নিজের দিনে আজও যে তামিম ইকবাল খান দেশসেরা ওপেনার সে প্রমাণই পাওয়া যাচ্ছে বারবার।