ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হায়দ্রাবাদ টেস্টের দুই ইনিংসে ২৪ ও ৩৯ রান করেছিলেন রোহিত শর্মা; পরের ম্যাচে সবমিলিয়ে ২৭ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। অর্থাৎ প্রায় প্রতিবারই সেট হয়ে বড় রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। সেজন্যই সিরিজের বাকি অংশে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে ছিলেন, সফলতাও পেয়েছেন সাথে সাথে।
রাজকোটে তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এই তারকা। ১৯৬ বলে করেছেন ১৩১ রান, ১৪ চার ও তিন ছক্কায় সাজানো এই ইনিংসের কল্যাণেই দিন শেষে চালকের আসনে বসতে পেরেছে ভারত। তাছাড়া সাম্প্রতিক অফ ফর্মের কারণে সৃষ্ট সমালোচনারও জবাব দিতে পেরেছেন তিনি।
টিম ইন্ডিয়ার জন্য দিনের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। মার্ক উডের তোপে ২৪ রানেই দুই ইনফর্ম ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল এবং শুভমান গিলের উইকেট হারিয়েছিল দলটি। বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার আগেই আরো একটি উইকেটের পতন ঘটে, ফলে দিশেহারা অবস্থা সৃষ্টি হয়।
তবে অধিনায়ক হাল ছাড়েননি, রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে শক্ত করে হাল ধরেছিলেন। দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় কাটিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা।
হিটম্যান অবশ্য স্বভাবসুলভ ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছেন। ৭১ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন তিনি; এরপর ১৫৭ বলে পূর্ণ করেছেন শতক। তাঁর ম্যারথন ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান মার্ক উড, তবে এর আগেই কাজের কাজটা করে ফেলেছেন এই ওপেনার।
দিন দুয়েক আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর অধিনায়কত্ব করা নিয়ে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল আনুষ্ঠানিকভাবে। অর্থাৎ সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালের মত এই বছরও সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে টস করতে নামবেন তিনি। তাই তো হুট করেই দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে তাঁর, আর এই সময়ে দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিবে এই ডানহাতির।
দারুণ একটা ইনিংস অনেকদিন থেকেই দরকার ছিল রোহিত শর্মার। আকাঙ্খিত এই পারফরম্যান্সের দেখা অবশেষে পাওয়া গেলো। এখন শুধু সেটা ধরে রাখার পালা, যেই প্রত্যাশা নিয়ে তাঁর উপর ভরসা করছে পুরো ভারত সেই প্রত্যাশা মেটানোর পালা।