নুরুল হাসান সোহানের হাতে প্রচুর শট নেই। তিনি লেগ সাইড নির্ভর ব্যাপার। তবে, তাঁর মধ্যে একটা এক্স ফ্যাক্টর আছে। এক রকমের ফ্ল্যামবয়েন্স আছে। যেটার একটা বৃহত্তর প্রদর্শনী হয়ে গেল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
সফরকারী নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বোলিং আক্রমণ নিয়ে কার্যত ছেলেখেলাই করলেন সোহান। ক্যারিয়ারের সপ্তম লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরি পাওয়ার ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিলেন সামনে থেকে। ব্যাট হাতে তাঁর একেকটি ছক্কা যেন বারবার নির্বাচকদের দিকে আঙুল তুলে দেখাল, এই সোহানকে জাতীয় দলে ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি। সেঞ্চুরি করে ব্যাট তোলার আগেই হেলমেট খুললেন, সিজদাহ করে স্মরণ করলেন স্রষ্ঠাকে।
মোটে সাত ওয়ানডের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। সেখানে ব্যাটিং গড় ৮২.৫০! ইনিংস মাত্র পাঁচটা। এর মধ্যে, দুইটা ম্যাচ ফিনিশিং নক। অথচ, সেই নুরুল হাসান সোহান জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন বছর দুয়েক আগে।
মাঝে টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিতই খেলতেন। কিন্তু ২০২২ বিশ্বকাপের পর থেকে সেখানেও জাতীয় দলে। সেই বিশ্বকাপের পর আরও যাদের কাঠগড়ায় তোলা যেত তাঁদের অনেকেই দিব্যি খেলে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। কিন্তু, সোহান বড্ড অপাঙতেও। অধিনায়কত্ব পাওয়ার এক বছরের মধ্যে জাতীয় দল থেকেই বাইরে – বাংলাদেশ ক্রিকেটে এতটাই অনাদরের সন্তান তিনি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৫৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৫০ রানে পৌঁছাতে চারটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান। ইনিংসের পরবর্তী অংশে সোহান ছিলেন আরও মারকুটে। টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে নব্বইয়ের ঘরে প্রবেশ করেন। ইনিংস শেষ করেন ১০১ বলে ১১২ রান করে। সাতটি ছক্কা আর সাতটি চারে সাজানো অনন্য ইনিংস। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের রানের পাহাড় গড়া নিশ্চিত হয়ে যায় সোহানের ব্যাটেই।