চার দেশ মিলিয়ে ক্যালিটজের এক স্বপ্ন!

কখনো ক্রিকেট একটা খেলা, কখনো এটাই আবার রোমাঞ্চকর এক স্বপ্ন। যে স্বপ্ন পুঁজি করে দেশান্তর হওয়া যায় খুব সহজে। এমনই এক গল্প বেন ক্যালিটজের।

কখনো ক্রিকেট একটা খেলা, কখনো এটাই আবার রোমাঞ্চকর এক স্বপ্ন। যে স্বপ্ন পুঁজি করে দেশান্তর হওয়া যায় খুব সহজে। এমনই এক গল্প বেন ক্যালিটজের। কানাডায় জন্ম, নামিবিয়ায় বেড়ে ওঠা, দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজের শিকড়—শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জায়গা করে নেওয়া। এবার যাত্রাপথের পরবর্তী গন্তব্যটা বাংলাদেশ।

২৩ বছর বয়সী বেন ক্যালিটজ মূলত বাঁহাতি উইকেটকিপার-ব্যাটার। কানাডায় জন্ম নেওয়া এই তরুণের বাবা–মা দক্ষিণ আফ্রিকান। শৈশব কেটেছে নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটে মুগ্ধ ছিলেন ক্যালিটজ। সেই ভালোবাসাই তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল কানাডার অনূর্ধ্ব–১৯ দলে। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে কানাডার হয়ে খেলেছিলেন তিনি।

তবে এখানেই থেমে থাকেননি। ক্রিকেটকে আরও পেশাদারভাবে নেওয়ার ইচ্ছা থেকেই ২০ বছর বয়সে পাড়ি জমান ইউরোপে। লক্ষ্য ছিল যুক্তরাজ্যে ক্লাব ক্রিকেট খেলা, নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা। আর সেই লক্ষ্য পূরণেই বেছে নেন আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টকে। ধীরে ধীরে আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরেন। স্থানীয় ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে নজর কাড়েন নির্বাচকদের।

আয়ারল্যান্ডের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক অভিষেকও হয়ে গেছে তাঁর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ১৮ বলে ২২ রানের ছোট্ট ইনিংস খেলেছিলেন ক্যালিটজ। যদিও অভিষেকটা ছিল সংক্ষিপ্ত, তবুও সেটিই ছিল তার স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ। এখন সামনে আরও বড় মঞ্চ—আয়ারল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর।

এই সফর ক্যালিটজের জীবনের প্রথম বিদেশ সফর, যেখানে তাঁর সামনে সুযোগ থাকবে নিজের সামর্থ্য প্রমাণের। বাংলাদেশের কন্ডিশন, স্পিন-সহায়ক উইকেট, এবং উপমহাদেশের চ্যালেঞ্জ—সবকিছুই হবে তাঁর জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।

ক্যালিটজের গল্পটা শুধু একজন ক্রিকেটারের নয়, বরং এক স্বপ্নবাজ তরুণের, যিনি চারটি দেশের সংস্কৃতি পেরিয়ে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এবার, দেখা স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেওয়ার অপেক্ষা কেবল।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link