দুটি লাইফ পেয়েও ডাক। আবারও সেই আজব টেকনিকেরই ফাঁদে পড়লেন এনামুল হক বিজয়। লঙ্কান ফাস্ট বোলার আসিথা ফার্নান্দো বিজয়ের সেই দূর্বলতা টের পেয়েছেন, সেটা বুঝেই বারবার একই লাইনে বোলিং করে যাচ্ছিলেন। কয়েকবার স্লিপে ক্যাচ তুলে দিলেন এই ওপেনার।
সুযোগ পেলেন স্লিপ ফিল্ডারদের ব্যর্থতায়। কিন্তু, বিজয় যেন ব্যর্থ হবেন সেই প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছেন। পরিস্কার বোল্ড হয়ে গেলেন। বিজয়ের উইকেট নিজের চেষ্টাতেই পেলেন আসিথা — ফিল্ডারদের প্রয়োজনই পড়ল না।
বলটা একটু ভিতরে ঢুকে আসে, এনামুল ক্রিজে ঠায় দাঁড়িয়েদেখে ব্যাট শরীর থেকে একটু দূরে ঝুলিয়ে রাখেন। আর তাতেই হন ইনসাইড এজ। বল গিয়ে আঘাত করে স্টাম্পের ওপরে। একই ভুল বারবার করছেন তিনি। আর কত তাঁকে হজম করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট?
আগের ওভারে ড্রপ হওয়া ক্যাচটির কোনো খেসারত দিতে হয়নি শ্রীলঙ্কাকে — শূন্য রানেই ফিরে গেলেন আনামুল। গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০ বল খেলে ডাক মারেন, এবারও সেই সমান ১০ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারলেন না।
শ্রীলঙ্কার ফ্ল্যাট ব্যাটিং ট্র্যাকে তিন ইনিংস খেলে করতে পেরেছেন মাত্র চার রান। আর এর চেয়েও বড় কথা, যতগুলো বল তিনি গল বা কলম্বোর উইকেটে কাটিয়েছেন – সব গুলোতেই আউট হওয়ার শঙ্কা জাগিয়েছেন। বাংলাদেশ বারবার ভুল ঘোড়াতে বাজি ধরছে না তো?
টানা সুযোগ পান না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এই অভিযোগ বিজয় প্রায়ই করেন। খোদ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও তাঁকে আরও সুযোগ দেওয়ার পক্ষে। তবে, টানা সুযোগ পেয়েও বিজয় কোনো ফলাফল আনতে পারছেন না, টেকনিক শুধরানোরও কোনো চেষ্টা নেই তাঁর মধ্যে।
গলের মাটিতেই ২০১৩ সালে টেস্ট অভিষেক হয় বিজয়ের। ১২ বছরে টেস্ট খেলেছেন মাত্র আটটি। অবশ্য কোনোবারই তিনি বলার মত সাফল্য পাননি।
২০১৩ সালে তিনটি টেস্ট খেলেন। ২০১৪ সালে খেলেন একটি টেস্ট। এরপর ২০২২ সালে আট বছরের ব্যবধানে তাঁকে ফিরিয়ে এনে একটা টেস্ট খেলানো হয়। এবার তিন বছরের ব্যবধানে ফিরে টানা তিনটা টেস্ট খেলানো হল। টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থাও পাচ্ছেন। কিন্তু, ফলাফল আনতে পারছেন না বিজয়।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবে দুই লাইফ পেয়েও ডাক। আরেকটা সুযোগ মিস। বিজয়ের সময় ফুরিয়ে আসছে দ্রুত। বিজয়ের জয়োধ্বনি দ্রুতই না বাজলে তাঁর চূড়ান্ত নির্বাসন আসন্নই বলা যায়।