গেল মাসে উইন্ডিজ দলের টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দলের দায়িত্বে এসেছিলেন ড্যারেন স্যামি। ক্রিকেট পাড়ায় কথা উঠেছিল স্যামির হাত ধরে আলোর মুখ দেখবে দলটি। এবার স্যামির সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন কার্ল হুপার।নিজ দেশের সাবেক তারকাদের নিয়ে নতুন সূর্য উদয়ের প্রচেষ্টায় ক্রিকেট উইন্ডিজ। এমন কথা এখন জোড় দিয়ে বলা যেতেই পারে।
আগামী ৪ জুন সংযুুুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নামবে উইন্ডিজরা। এই সিরিজ দিয়ে নতুন দায়িত্বের শুরু করবেন স্যামি ও হুপার। দ্বিপাক্ষীয় সিরিজ শেষে উইন্ডিজের বড় চ্যালেঞ্জ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগে সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার ফলে সুযোগ হারিয়েছে সরাসরি অংশগ্রহণের। ভারতের বিমান ধরতে তাই টপকাতে হবে বাছাইপর্বের বাঁধা। এই লড়াইয়ে দলটির প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, নেদারল্যান্ডস, নেপাল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়েছিল উইন্ডিজরা। বছর ঘুরতে শঙ্কার কালো মেঘ একদিনের ক্রিকেটেও। এবার দেখার পালা অধিনায়ক হিসেবে সফল স্যামি কতটা সফল হতে পারেন কোচ হিসেবে।
একই সাথে ক্রিকেট দুনিয়ার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৫ হাজার রান, ১০০ উইকেট নিয়েছিলেন হুপার। ফিল্ডার হিসেবেও ছিলেন দূর্দান্ত, ১০০ ক্যাচ তালুবন্দি করার গৌরবময় মাইল ফলক স্পর্শও করেছেন তিনি। এখন দেখার পালা হুপার দলের আধার দূর করতে কতটা অবদান রাখতে পারেন?
জাতীয় দলে অধিনায়ক হয়ে দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন স্যামি। ক্যারিয়ার নিয়ে খানিকটা উদাসীন থাকলেও দুই সংস্করণেই পাঁচ হাজারের অধিক রান করেছের হুপার। এই দুই তারকার উপর ভরসা করতে চাইছে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। এমনও হতে পারে স্যামি-হুপার যুগলবন্দীতে জাতীয় দলটায় ফিরবেন ক্রিকেটাররা।
বোর্ডের সাথে ঝামেলার কারনে দীর্ঘসময় জাতীয় দলের বাইরে আন্দ্রে রাসেল-সুনীল নারাইন জুটি। কোচের চাওয়া থাকলেও সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন না দু’জনে। সেসময় ধারাভাষ্যে সময় কাটানো স্যামিকে অবশ্য রাসেল জানিয়েছিল খেলতে চান জাতীয় দলে, জিততে চান বিশ্বকাপ। ফলে তাদের দলে ফেরানোর কাজটি কঠিন হওয়ার কথা নয় স্যামির জন্য। যদিও ফিটনেসের ঘাটতি রয়েছে রাসেলের।
‘ভালো শিক্ষার্থী হলেই ভালো শিক্ষক হওয়া যায় না’-বাংলায় রয়েছে এমনই এক প্রবাদ। মাঠের ক্রিকেটে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ মহেন্দ্র সিং ধোনি ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন ভারতীয় দলের পরামর্শদাতা। সে আসরে সুবিধা করতে পারেনি ভারত। পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল ১০ উইকেটে। টুর্নামেন্ট শেষ হয় তাদের প্রথম পর্বেই।
সবমিলিয়ে উইন্ডিজ ক্রিকেটের পুরনো সৌন্দর্য ফেরাতে বাড়তি পরিশ্রম করার বিকল্প নেই স্যামিদের। খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর কাজটাও করতে হবে তাদেরকে। স্রেফ তখনই সম্ভব ক্যারিবিয় ক্রিকেটের হারানো জৌলুশ ফিরে পাওয়া।