অবশেষে রানে ফিরেছেন বাবর আজম। সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে চেনা ছন্দে ফিরেছে তার ব্যাট। রিশাদের লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে বাবরের ব্যাটে ভর করেই সহজ জয় তুলেছে পেশোয়ার জালমি।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিং বেছে নেন জালমি অধিনায়ক বাবর আজম। শুরুতেই বাজিমাত, আলজারি জোসেফ এবং লুক উডের বোলিং ঝড়ে বিধ্বস্ত লাহোরের পুরো ব্যাটিং অর্ডার।
৪৪ রানে যখন ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে লাহোর, তখন ব্যাটিংয়ে আসেন রিশাদ হোসেন। সুযোগটা ছিল ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলার। তবে ১৩ বলে ১৩ রান করেই থামতে হয়েছে তাকে।
রিশাদ না পারলেও পেরেছেন সিকান্দার রাজা। নিজের জন্মদিনে ব্যাট হাতে লাহোরের জন্য খেলেছেন ৩৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস। তার ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে অন্তত লড়াই করার পুঁজি পায় লাহোর।
টার্গেটটা ছিল ১৩০ রানের। পেশোয়ার শুরতেই দুই রানে সায়েম আইয়ুবকে হারিয়ে প্রথম ধাক্কা খায়। সাত রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর শঙ্কা জাগে—চেজ করতে পারবে তো পেশোয়ার! তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন বাবর আজম।
সেই চিরচেনা সব শট, ট্রেডমার্ক কভার ড্রাইভ—অনেকদিন পর এমন চোখ জুড়ানো ইনিংস এলো বাবরের ব্যাট থেকে। বাবরের ৪২ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে ছিল সাতটি চার এবং একটি ছয়ের মার। শেষ পর্যন্ত হুসাইন তালাতকে সঙ্গে নিয়ে অনায়াসে টপকে যান অল্প রানের টার্গেটটা। পেশোয়ার তুলে নেয় সাত উইকেটের বড় জয়।
এর আগের ম্যাচেই ৪৬ রান করে বাবর আজম জানান দিয়েছিলেন নিজের উপস্থিতি। দীর্ঘদিন রানবিহীন বাবরের ব্যাট, চারিদিকে উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। কেউ কেউ তো শেষটাও দেখে ফেলেছিল। তবে বাবর আবার ফিরে এসেছেন, জানিয়ে দিয়েছেন—ফুরিয়ে যেতে তিনি আসেননি।
আগের ম্যাচে ৪৬ রান করলেও হেরে যায় দল। তাই তো আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন ম্যাচ জিতিয়েই তবেই ছাড়বেন মাঠ। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত এক ইনিংস খেলে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আবারও জানিয়ে দিলেন—”দ্য কিং ইজ ব্যাক।”