দীর্ঘ ৪ বছর পরে ক্রিকেটে ফিরেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ২০২১ আইপিএল এর পরে সেই যে ব্যাটখানা তুলে রেখেছিলেন, তারপরে তিনি কোথাও নেই। কত ধরনের টুর্নামেন্ট হয়! বিখ্যাত, অখ্যাত, কিন্তু ভিলিয়ার্সের দেখা মেলে না। অবশেষে এবি ফিরলেন। ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস টুর্নামেন্ট দিয়ে দক্ষিন আফ্রিকার জার্সি গায়ে জড়িয়েই ক্রিকেটে ফিরেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।
কোন স্বীকৃত টুর্নামেন্ট নয়, অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের আসর। প্রথম ম্যাচে ব্যাটে হাতে আলোও ছড়াতে পারেন নি, মাত্র ৩ রান করে সুলেমান বেনের বলে ক্যাচ আউট হয়েছেন। তবুও এবি ডি ভিলিয়ার্স ফিরেছেন, এটাই তো জরুরি খবর।
একটা প্রজন্মের আবেগ এবি ডি ভিলিয়ার্স। এমআরএফ-এর একখানা ব্যাট হাতে এবি মাঠে নামছেন। জোহানেসবার্গ, চিন্নাস্বামী, সিডনি কিংবা হেডিংলি, যেখানেই ব্যাট হাতে নেমেছেন, দর্শকরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখেছে ‘দ্য সুপারম্যান শো’। সমর্থক কিংবা প্রতিপক্ষের দর্শক সবাই।
ওয়াংখেড়েতে ভারতের বিপক্ষে ব্যাট হাতে নামার সময় গ্যালারিতে যে গর্জন শোনা গিয়েছে, তার তুলনা চলতে পারে কেবল শচীন কিংবা ভিরাট মাঠে নামলে যে গর্জন শোনা যায় তার সাথেই। অর্থোডক্স কিংবা আন অর্থোডক্স, এমন সব শটের পসরা সাজিয়েছেন, প্রতিপক্ষের বোলাররাও কখনো বাহবা জানাতে বাধ্য হয়েছেন।
সেই এবি আবারো মাঠে ফিরেছেন, হাশিম আমলার সাথে একসাথে উইকেটেও ছিলেন। সেই পুরনো দিন গুলোর মতই। সেই সকল মহাকাব্যিক জুটির স্মৃতি নিশ্চয়ই ভেসে উঠেছে সমর্থকদের মানসপটে।
প্রথম ম্যাচে এবি, আমলা ব্যর্থ হলেও দক্ষিন আফ্রিকা লেজেন্ডস ম্যাচ জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ লেজেন্ডসের বিপক্ষে। ১১ ওভারে ৮১ রানের লক্ষ্যে পথ হারানো দক্ষিন আফ্রিকাকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান জেপি ডুমিনি। ঠিক যেন পুরনো দিনের মতই, আকস্মিক কোন দিন এবি-আমলারা ব্যর্থ হলে দলকে ডুমিনি পথ দেখিয়েছেন কতবার!
সমীকরণ নামিয়ে আনেন ৩ বলে ২ রানে। তারপরেও জমে ওঠে ম্যাচ। দক্ষিন আফ্রিকার ম্যাচ বলে কথা! ফিডেল এডওয়ার্ডস দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ টাই করে ফেলেন।
শেষ পর্যন্ত বোল আউটে জয়ী হয়েই মাঠ ছাড়ে দক্ষিন আফ্রিকা। তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে এবির মাঠে ফেরাই সবথেকে বড় খবর। একবার যখন ফিরেছেন, জাদুর দেখাও মিলবে নিশ্চয়ই।