রেফারি আর রিয়াল, এ যেন দা-কুমড়া সম্পর্ক

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে রেফারির সম্পর্ক আরো তিক্ত হলো যেন, চলমান বিতর্কের উত্তাপ বেড়ে গেলো আরো কয়েকগুণ। বিতর্কিত লাল কার্ড থেকে শুরু করে পেনাল্টি কিংবা প্রতিপক্ষের ফাউল না ধরা - রিয়ালের জন্য এদিন সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে উঠেছিলেন রেফারি নিজেই। তা নাহলে পনেরো মিনিটের মাথায় লিড নিয়েও কেন পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হবে দলটাকে। 

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে রেফারির সম্পর্ক আরো তিক্ত হলো যেন, চলমান বিতর্কের উত্তাপ বেড়ে গেলো আরো কয়েকগুণ। বিতর্কিত লাল কার্ড থেকে শুরু করে পেনাল্টি কিংবা প্রতিপক্ষের ফাউল না ধরা – রিয়ালের জন্য এদিন সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে উঠেছিলেন রেফারি নিজেই। তা নাহলে পনেরো মিনিটের মাথায় লিড নিয়েও কেন পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হবে দলটাকে।

ম্যাচের তখন চল্লিশ মিনিট, রেফারি জোসে মুনুয়েরাকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বোধহয় বলেছিলেন জুড বেলিংহ্যাম। সবাইকে বিস্মিত করে তখনি বুকপকেট থেকে লাল কার্ড বের বসেন তিনি – কি জানি, কি এমন বললেন ইংলিশ তারকা যে একেবারে মাঠ থেকেই বেরিয়েই যেতে হলো তাঁকে।

শুরু থেকেই আধিপত্য দেখিয়ে আসছিলো লস ব্ল্যাঙ্কোসরা, কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্ধর্ষ এক ফিনিশিংয়ে গোলও পেয়ে গিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পর থেকে খেলার গতিপথ বদলে যায় – ওসাসুনা চেপে বসে রিয়ালের ওপর, একের পর এক আক্রমণ নিয়ে হামলে পড়ে থিবো কোর্তোয়ার ওপর। আর ৫৮ মিনিটের সময় আসে আরেক বজ্রাঘাত।

ডি বক্সের ভিতর ট্যাকেল করে হলুদ কার্ড হজম করে বসেন এদুয়ার্দো কামাভিঙা, সেই সাথে পেনাল্টি থেকে গোল হজম করে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষপর্যন্ত ১-১ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ; এতেই রিয়ালের শিরোপা স্বপ্ন বড়সড় ধাক্কা খেলো।

যদিও কেবল রেফারির দোষ দিয়ে পার হওয়া যাবে না, মাঠে কি করেছেন লস ব্ল্যাঙ্কোসরা? এমবাপ্পে আরো অন্তত জোড়া গোল করতে পারতেন; ভিনিসিয়াস জুনিয়রও পেতে পারতেন গোলের দেখা। কিন্তু গোল মিসের মহড়া বসিয়েছেন দু’জনেই, বিশেষ করে ৯১ মিনিটের সময় ফরাসি স্ট্রাইকার গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি – সেই দুঃখ ভুলবেন কিভাবে?

রিয়াল মাদ্রিদকে দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজতে হবে, এভাবে চলতে থাকলে লা লিগার শিরোপা নির্ঘাত হারাতে হবে। তাই দেখার বিষয়, নিকট ভবিষ্যতে কার্লো আনচেলত্তি কি করেন শিষ্যদের নিয়ে।

Share via
Copy link