প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং অনুশীলন নিয়ে একটা আক্ষেপ। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য সেই আক্ষেপ কেটে গেল বিকেএসপিতে। তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবাল একাদশ। আর দু’দলে থাকা কম বেশি সব শীর্ষ ক্রিকেটারই এদিন রানের দেখা পেয়েছেন।
২২৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। উদ্বোধনী জুটিতেই দুজন যোগ করেন ৭৭ রান। ৯ টি চারের সাহায্যে ৫৩ বলে ৪৮ রান করে লিটন বিদায় নিলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
লিটনের বিদায়ের পর উইকেটে এসে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিমকে সাথে নিয়ে শান্ত যোগ করেন ১১৯ রান। ৫১ বলে ৭ টি চার ও ২ টি ছয়ে ৬১ রান করে শান্ত বিদায় নেওয়ার পর দলের অন্যদের ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিতে রিটায়ার্ড হার্ট হিসেবে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৫ টি চার ও ৩ টি ছয়ে ৮০ বলে ৮০ রান।
তামিম মাঠ ছাড়ার পর দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন মোহাম্মদ মিঠুন ও সৌম্য সরকার। মিঠুন ১৭ বলে ১৭ ও সৌম্য সরকার ১২ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। মাহমুদউল্লাহ একাদশের পক্ষে ১ টি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
এর টসে জিতে ব্যাট করতে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও ইয়াসির আলী রাব্বি। উদ্বোধনী জুটিতে এই দুজন যোগ করেন ৪৫ রান। ৩৬ বলে ২৪ রান করে রাব্বি ফিরে গেলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসানের সাথে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন নাঈম শেখ। ৪ টি চার ও ২ টি ছয়ে ৬৮ বলে ৫০ রান করে নাঈম শেখ বিদায় নিলে ভাঙ্গে তাদের ৫০ রানের জুটি। নাঈম ফিরে যাওয়ার পর উইকেটে এসে মুশফিকুর রহিম ২৭ বলে ২৫ রান করে আউট হয়ে গেলেও অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব আল হাসান।
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আজই প্রথম সাবলীল ব্যাটিং করেছেন সাকিব। ৮২ বল মোকাবেলা করে ১ টি চার ও ১ টি ছয়ের সাহায্যে ৫২ রান করেন তিনি। সাকিবের ইনিংসের ৪২ রানই আসে সিঙ্গেল থেকে। শেষের দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ৩৭ বলে ৩১ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ১২ বলে ১১ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রান সংগ্রহ করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশ। নামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশ হলেও আজ অধিনায়কত্ব করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
তামিম ইকবাল একাদশের পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৯ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন মিরাজ। সাইফউদ্দিন ২ উইকেট পেলেও ৯ ওভারে তাকে গুনতে হয়েছে ৬২ রান। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহম্মেদ ও রুবেল হোসেন শিকার করেন ১ টি করে উইকেট।
- সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড
মাহমুদউল্লাহ একাদশ: ২২৩/৭ (৪৫ ওভার) নাঈম- ৫০ (৬৮), ইয়াসির- ২৪ (৩৬), সাকিব- ৫২ (৮২), মুশফিক- ২৫ (২৭), মোসাদ্দেক- ৩১ (৩৭), মিরাজ- ১১ (১২), তাইজুল- ৪ (৫)*, হাসান মাহমুদ- ২ (৪)। সাইফউদ্দিন- ৯-১-৬২-২, মেহেদী- ৯-০-৩১-২, আফিফ- ৩-০-১১-০, মুস্তাফিজ- ৯-১-৩৭-১, রুবেল- ৯-০-৪৪-১, নাসুম- ৬-০-৩৩-১।
তামিম একাদশ: ২২৪/২ (৩৫.২ ওভার) লিটন- ৪৮ (৫৩), তামিম- ৮০ (৮০)* অবসর, শান্ত- ৬১ (৫১), মিঠুন- ১৭* (১৭), সৌম্য- ১২* (১২)। আল আমিন- ৪-০-২১-০, সাকিব- ৩.২-০-২১-০, মিরাজ- ৫-০-৩৩-০, তাইজুল- ৪-০-৩১-০, তাসকিন- ৭-০-৪৫-১, হাসান- ৫-০-৩১-১, মোসাদ্দেক- ৫-০-২৯-০, রাহী- ২-০-১২-০।
ফলাফল: তামিম একাদশ ৮ উইকেটে জয়ী।