সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। এরপর পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) হয়ে উসমান খান এখন আছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। থ্রিলিং কোন সিনেমার চিত্রনাট্যের চেয়ে কম রোমাঞ্চকর নয় তাঁর এই পথচলা। অবিশ্বাস্য এক উপন্যাস রচনা করেই বিশ্ব মঞ্চে খেলতে যাচ্ছেন তিনি, আর সেটির প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝেও লড়াই করার চেষ্টা করেছেন এই ব্যাটার, খেলেছেন ২১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস। সংখ্যাতত্ত্বে ছোট হলেও ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ বটে, ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়া সেটাই প্রমাণ করে। তাঁর এমন পারফরম্যান্সে ভর করেই ব্যাটিং ধ্বস সত্ত্বেও লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে বাবর আজমের দল।
পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম হলেও এই ডানহাতি পেশাদার ক্রিকেট শুরু করেছিলেন আরব আমিরাতে; জাতীয় দল হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। হয়তো সবকিছু ঠিক থাকলে তাঁদের হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতেন, কিন্তু সবকিছু বদলে দিয়েছে বিপিএল! চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলে নিয়েছিল তাঁকে আর ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির কল্যাণে লাইমলাইট এসে পড়েছিল তাঁর উপর।
এরপর পিএসএলেও দল পান এই উদীয়মান তারকা, প্রত্যাশার প্রতিদান দিয়েছেন দারুণভাবে। সাত ম্যাচ খেলেই করেছিলেন ৪৩০ রান, হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা ব্যাটার। তাঁকে আর উপেক্ষা করতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি), তিনিও সাড়া দিয়েছেন তাঁদের ডাকে।
তারপরই অতীত ঝেড়ে ফেলে পাকিস্তান দলে জায়গা করে নেন উসমান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পা রাখেন তিনি। শুরুর দিকে রান না পেলেও বিশ্বকাপ ভাবনায় রাখা হয়েছিল তাঁকে। মূলত মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে সেরা পনেরোতে জায়গা হয় তাঁর।
ইংলিশদের বিপক্ষে এই হার্ডহিটারের পারফরম্যান্স আহামরি না হলেও অন্তত আশা দেখাচ্ছে টিম ম্যানেজম্যান্টকে। পিএসএল কিংবা বিপিএলে যেভাবে আলো ছড়িয়েছেন, বিশ্ব মঞ্চে সেটির পুনরাবৃত্তি দেখতে চাইবে সমর্থকেরা। তিনিও নিশ্চয়ই সেই লক্ষ্যে প্রস্তুত করছেন নিজেকে।