টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, পাক-ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ পাচ্ছে বাংলাদেশ

সীমিত ওভারের ক্রিকেটের যুগে টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতেই ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু করেছিল আইসিসি। দুইটি আসর সম্পন্ন হবার পর সেই উদ্যোগে আইসিসি অনেকটাই সফল বলা চলে। সদ্য শেষ হওয়া আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরের ফাইনাল শেষ হবার পরই তৃতীয় আসরের পুর্নাঙ্গ সূচী প্রকাশ করেছে আইসিসি।

সীমিত ওভারের ক্রিকেটের যুগে টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতেই ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু করেছিল আইসিসি। দুইটি আসর সম্পন্ন হবার পর সেই উদ্যোগে আইসিসি অনেকটাই সফল বলা চলে।

সদ্য শেষ হওয়া আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরের ফাইনাল শেষ হবার পরই তৃতীয় আসরের পুর্নাঙ্গ সূচী প্রকাশ করেছে আইসিসি। আগের দুই আসরের মত একইরকম সূচীতে হবে এবারের আসর।

টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা নয় দল তিনটি করে হোম ও এওয়ে সিরিজ খেলবে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার অ্যাশেজের মধ্য দিয়েই শুরু হচ্ছে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর।

অ্যাশেজের পাশাপাশি এবারের আসরে অ্যাওয়েতে মোট নয়টি টেস্ট খেলবে টেস্ট ফরম্যাটের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এওয়ে টেস্টের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ আছে অজিদের। এছাড়া ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে পাঁচটি, পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে অজিরা।

অস্ট্রেলিয়ার সাথে সাথে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যাত্রা শুরু হতে যাওয়া ইংলিশরা। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার পর শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মোট ১০ টি ম্যাচ খেলবে থ্রি লায়ন্সরা।

এছাড়া ভারতের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ছাড়াও পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এওয়ে সিরিজে মাঠে নামবে ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের শিষ্যরা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই আসরে টানা দুইবার রানার আপ হওয়া ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের যাত্রা শুরু হবে আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এওয়ে সিরিজের মাধ্যমে।

এছাড়াও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশকে আতিথ্য দেবে ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে টিম ইন্ডিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এওয়েতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ছাড়াও দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করবে বর্তমান রানার আপরা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই সূচীতে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে বলা যায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

উপমহাদেশের দল গুলোর জন্য প্রতিকূল পরিবেশ বিবেচনা করা হয় দক্ষিন আফ্রিকাকে। সেই উপমহাদেশের তিন দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই তিনটি হোম সিরিজ খেলবে প্রোটিয়ারা। এছাড়াও নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের মাটিতে এওয়ে সিরিজ খেলবে আসবে দক্ষিন আফ্রিকা।

বাংলাদেশও তিনটি হোম সিরিজ এবং তিনটি অ্যাওয়ে সিরিজ পেয়েছে আগামী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সার্কেলে। ছয়টি সিরিজের প্রতিটিতে বাংলাদেশ দুটি করে টেস্ট খেলবে।

মোট ১২টি টেস্ট খেলবে ২০২৩-২৫ চ্যাম্পিয়নশিপ সার্কেলে। এর মধ্যে ছয়টি ম্যাচ হবে ঘরের মাঠে। ম্যাচ ছয়টি বাংলাদেশ যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে।

অ্যাওয়ে টেস্টের ছয়টি বাংলাদেশ খেলবে ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। বাংলাদেশের মতো ১২টি ম্যাচ অর্থাৎ দুই টেস্টের ছয়টি সিরিজ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

আগামীকাল অ্যাশেজ দিয়েই শুরু হচ্ছে ২০২৩-২৩ সার্কেলের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। অ্যাসেজের মত এমন সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করতে পেরে উচ্ছ্বসিত অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের অধিনায়করাও।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সার্কেল নিয়ে ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেছেন, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সার্কেলের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। আশা করছি আমরা ভালো শুরু পাবো। ক্রিকেট ভক্তরা সার্কেলটি আগ্রহ নিয়ে দেখবে।’

সদ্যই একটি আসরের শিরোপা জিতে আরেকটি আসর শুরু করতে পারে উচ্ছ্বসিত অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও। কামিন্স বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল এই আসরের ফাইনালে পৌঁছানো। শিরোপা জেতাটা আমাদের দলের জন্য দারুণ অর্জন। যুক্তরাজ্য সফরের শুরুটা তাই আমাদের দারুণ হয়েছে। তবে আগামী পাঁচটি টেস্ট ম্যাচের জন্য আমাদের আরো কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...