ক্রিকেট খেলা থামার অজস্র কারণ থাকতে পারে—বৃষ্টি, আলো স্বল্পতা, দর্শকের উৎপাত। কিন্তু করাচির এক হতচ্ছাড়া বিড়াল তো খেলা বন্ধ করাকে রীতিমত শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। একবার নয়, বারবার! এবারের শিকার —দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ। ত্রিদেশীয় সিরিজের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও আছেন।
ম্যাচের তখন ৩০তম ওভার। ফিল্ডাররা জায়গা নিচ্ছেন, ব্যাটাররা প্রস্তুত। কিন্তু তখনই মাঠের সবচেয়ে চতুর চরিত্রটির আগমন! পা টিপে টিপে, রাজকীয় ভঙ্গিতে এক বিড়াল হাজির সেন্টার উইকেটের কাছে!আম্পায়ার তাকিয়ে আছেন বিড়ালের দিকে, গ্যালারি হাসিতে ফেটে পড়ছে। কিন্তু বিড়ালের বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই—সে যেন পুরো দৃশ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চায়!
কিন্তু বিপদ তখনই, যখন রাবাদা বুঝতে পারলেন, মাঝ উইকেটের দখল নিতে চলেছে এই অনাহূত অতিথি। স্ট্রাইড ছোট করে পেসার দৌড় দিলেন বিড়ালের দিকে, আর তাতেই মুহূর্তের মধ্যে বেপরোয়া দৌড়! বিড়াল বাবাজি চলে গেল মাঠের বাইরে।
বিড়াল চলে গেল ঠিকই, কিন্তু তার প্রভাব থেকে গেল সেই ওভারে। মার্কো ইয়ানসেনের করা পরের বলেই চার হাঁকালেন গুলবাদিন নাইব! তারপর রহমত শাহও মারলেন বাউন্ডারি!
ক্রিকেটে ‘লাকি চার্ম’ বলে কিছু আছে কি না, সেটা গবেষণার বিষয়। তবে করাচির দর্শকরা নিশ্চিত — এই বিড়ালটা যার পক্ষে যায়, তার ভাগ্য বদলে যায়! আফগানিস্তান অন্তত সে রাতের জন্য সেটাই বিশ্বাস করতে পারে।
কে জানে, হয়তো করাচির দর্শকরা এখন থেকে অপেক্ষা করবে সেই রহস্যময় বিড়ালের আরেকবার মাঠে নামার জন্য! তাহলে কি সে করাচির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অফিশিয়াল ‘ডিস্টার্বার’? হয়তো পরের ম্যাচেই আবার সে হাজির হবে, নতুন কোনো নাটক নিয়ে।